সিদ্ধিরগঞ্জে নির্মাণাধীন বাড়িতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী, নির্মাণ কাজে বাঁধা


editor প্রকাশের সময় : ০৩/০৫/২০২৩, ৭:২২ অপরাহ্ণ /
সিদ্ধিরগঞ্জে নির্মাণাধীন বাড়িতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী, নির্মাণ কাজে বাঁধা

 সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জে দাবীকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে হযরত আলী (৬০) ও রফিকুল ইসলাম মিন্টু ওরফে পাঠা মিন্টু (৪২) নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার (৩ মে) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল আলী পুল এলাকায় মোস্তফা মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় হযরত আলী ও রফিকুল ইসলাম মিন্টু ওরফে পাঠা মিন্টুর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে রাজমিস্ত্রিদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। ঘটনার সাথে সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে আসলে আগে থেকেই হামলাকারীরা টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এরআগে একই দিন সকালে ভুক্তভোগী মোস্তফা মিয়ার মেয়ে মিতু আক্তার (২২) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আব্দুল আলী পুল এলাকার মৃত দিলবর সরদারের ছেলে হযরত আলী ও একই এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম মিন্টু ওরফে পাঠা মিন্টুকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মিতু আক্তারের বাবা মোস্তফা মিয়া অসুস্থ্য। গত একমাস পূর্ব হতে তাদের বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলিতেছে। তাদের বাড়িতে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে বিবাদী হযরত আলী ও রফিকুল ইসলাম মিন্টু ওরফে পাঠা মিন্টু নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করে আসিতেছে। বিবাদীরা মিতুর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবীসহ তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি, খুন, জখমসহ হুমকি প্রদান করিতে থাকে। বুধবার সকাল ৮টায় তার বাড়ির লেবারদেরকে তারা অহেতুক মারধর করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হযরত আলী জানায়, আমি কেন হামলা করতে যাব। ওইখানে আমার ক্রয়কৃত জমি রয়েছে। আমি কি আমার জায়গায় চাঁদা চাইতে যামু। তারা আমাকে আমার জায়গা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। আমি এক মাস আগেই আদালতের মাধ্যমে এই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা করিয়েছি। পুলিশ এসে তাদের কাজ বন্ধ করে গেছে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন জানায়, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লেবারদের কাছে শুনেছি অভিযুক্তরা নাকি তাদেরকে গালি-গালাজ করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তাদেরকে র‌্যাব দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে জীবনের শিক্ষা দিবে। আমি হযরত আলীর সাথে যোগাযোগ করলে সে আমাকেও পাত্তা দেয়নি। সে বলে গরীবরা নাকি মানুষই না। সে যা বলে তাই সঠিক। এসআই সানোয়ার আরো জানায়, আমি অভিযুক্ত হযরত আলীকে বলেছি, যদি ওই জমিতে আপনার কোন মালিকানা থাকে তবে আদালতে যান। আদালত নির্দেশ দিলে পুলিশই এসে কাজ বন্ধ করে দিবে, আপনার বন্ধ করতে হবে না।