কাউন্সিলর বাদলের অর্ধকোটি টাকা বাণিজ্য


editor প্রকাশের সময় : ১৩/০৪/২০২৩, ১০:৪৬ অপরাহ্ণ /
কাউন্সিলর বাদলের অর্ধকোটি টাকা বাণিজ্য

 নিজস্ব সংবাদদাতা। নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিনস্থ সরকারি জলাশয় ভরাট ও দখল করে বাজার গড়ে তুলেছেন নাসিকের তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল। সৌদি বাংলা ঈদ বাজারের নামে অগ্রিম ও ভাড়া বাবদ হাতিয়ে নিয়েছেন কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকা। অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে বাজার বসিয়ে বাণিজ্য করলেও নিরব ভূমিকা পালন করছেন সওজ কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, শিমরাইল মোড় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশে নবনির্মিত সৌদি বাংলা শপিং কমপ্লেক্স এর সামনে প্রায় এক একর জায়গায় সরকারি জলাশয় ভরাট করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও নাসিকের তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল। ভেঙে ফেলেন মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার। টিনের বাউন্ডারি দিয়ে নির্মাণ করা হয় বাজার। বাজারে পজিশান বাবদ ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে অগ্রিম নেয় দোকানদারদের কাছ থেকে। আদায় করা হচ্ছে দৈনিক ভাড়া। কাউন্সিলর অন্যতম সহযোগী সাকের রিপন নিয়ন্ত্রন করছেন বাজারটি। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দোকানদারা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দোকান মালিক জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৪০ দিনের জন্য দোকানের পশিজন ভাড়া নেওয়া হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রনকারী সাকের রিপন বলেন,এখানে গরীব দুখি মানুষেরা ব্যবসা করছে। তারা যেন ঈদে কিছু অর্থ রোজগার করতে পারে সেজন্য এআয়োজন করা হয়েছে। বাউন্ডারি ও দোকান নির্মাণের জন্য যা খরচ হয়েছে দোকানদারদের কাছ সেটাকাই নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ খরব ও ভাড়া বাবদ কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে। কোন চাঁদাবাজি করা হচ্ছেনা। সরকারি জায়গা স্বীকার করে কাউন্সিলর শাহ জালাল বাদল বলেন, এটি একটি সাময়িক বাজার। ঈদের পরে থাকবে না। বাজার না থাকলেও সরকারি জলাশয় ভরাট বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে চাননি। এলাকার দায়িত্বে থাকা নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী নূওে আলম বলেন, যখন ভরাট শুরু হয় তখন মৌখিকভাবে বাধা দিয়েছিলাম। ঈদের পর লিখিত নোটি দিব। না শোনলে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কে ভরাট ও বাজার বসিয়েছে জানতে চাইলে তিনি তা জানেন না বলে জানান। নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, সরকারি জায়গায় ঈদ বাজার করার অনুমতি কাউকে দেই নাই। অবৈধভাবে যদি কেউ বাজার বসিয়ে থাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, কে বা কারা সরকারি জায়গা দখল করে ঈদবাজার বসিয়ে চাঁদা নিচ্ছে তা আমার জানা নেই। চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।