পবায় উদ্যোক্তা সাজ্জাদ এর ফুল বাগান পরিদর্শনে বিআরডিবি’র মহাপরিচালক


editor প্রকাশের সময় : ০১/০৩/২০২৩, ৭:০৭ অপরাহ্ণ /
পবায় উদ্যোক্তা সাজ্জাদ এর ফুল বাগান পরিদর্শনে বিআরডিবি’র মহাপরিচালক

রাজশাহীর পবা উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের মঠপুকুর এলাকার ফুল চাষি সাজ্জাদ হোসেনের ফুলের বাগান পরিদর্শন করেছেন বিআরডিবির মহাপরিচালক আব্দুল গাফফার খাঁন।

 

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে তিনি গোলাপ বাগানটি ঘুরে দেখে প্রশংসা করেন। এসময় তিনি বলেন, যারা চাকরির পিছনে ছুটছেন তারা চাকরি না খুঁজে এরকম উদ্যোক্তা হয়ে উঠবেন। তাদের উদ্যোক্তা হতে সরকারিভাবে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন নতুন প্রকল্প করে অন্যদের চাকরি দেবেন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আহ্বান করেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সরেজমিন মোঃ ইসমাইল হোসেন, কর্মসূচি পরিচালক আলাউদ্দিন সরকার, রাজশাহী বিআরডিবি উপ-পরিচালক এ কে এম জাকিরুল ইসলাম, হুজুরীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, পবা উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার, পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প কর্মকর্তা নজরুল ইসলামসহ দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

 

বিআরডিবি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার বলেন, বিআরডিবি দপ্তর পল্লী প্রগতি কর্মসূচি হতে উদ্যোক্তা ঋণ ফুল চাষ ট্রেডে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ফুল উৎপাদনে প্রশিক্ষণ, কৃষি পরামর্শ ও পানির সুব্যবস্থা, অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ ও ফুল বিক্রয়ের ব্যবস্থাসহ বিআরডিবির দাপ্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছি। তার পরিশ্রম ও চেষ্টায় আজ একজন সফল ফুল চাষি, করেছে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা।

 

উল্লেখ্য পবা উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের মটপুকুর গ্রামের ফুল চাষি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তিনি ১২ বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করছেন। তার ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ফুল বিক্রিও করেছেন। বাগানে আরও বেশ কিছু ফুল রয়েছে। তার হাউজে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির ফুলের চারা ও বাগানে গাছে গাছে লম্বা ডাঁটায় ভর করে বাতাসে দোল খাচ্ছে ফুল। শোভা ছড়াচ্ছে লাল, হলুদ, গোলাপি আর সাদা রঙের শত শত জারবেরা, ডালিয়া, গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। ফুলের বাম্পার ফলন হওয়ায় ও চাহিদা থাকায় বিভিন্ন জেলায় ফুল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। ফুল বাজারজাত করণে বিআরডিবি সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন, পলিনেট হাউসে ফুল চাষ করে তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ থাকা যায়। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ, শৈত্যপ্রবাহ, খরা, অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টির হলেও সমস্যা হয় না। সেজন্য এখন আর জমি পতিত থাকে না বিধায় বিভিন্ন ধরনের ফুল ও সবজি আবাদ ভাল হয়।