পরিকল্পিত আক্রমণ সড়ক দুর্ঘটনায় রুপান্তরের চেষ্টা।


editor প্রকাশের সময় : ১৬/০২/২০২৩, ২:৫৬ অপরাহ্ণ /
পরিকল্পিত  আক্রমণ সড়ক দুর্ঘটনায় রুপান্তরের চেষ্টা।

তাইপুর রহমান তপু।

নেত্রকোনা সদর থানার দুরুন বালি গ্রাম এর ট্রাক চালক মোঃ মোমেন মিয়ার পিতার কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানানো হয় যে তার ছেলে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে, তাকে বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পরবর্তীতে তাহার পরিবারের সাহায্যে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানে রোড এক্সিডেন্ট এর কথা লুকিয়ে পইজন এর ট্রিটমেন্ট করা হয়। এভাবে ক্রমাগত তাকে ভূল চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায় আহত মুমেন আর কখনো কথা বলতে পারবে না এরকম বলা হয় হাসপাতাল থেকে। পরে আহত ব্যাক্তি কে তার নিজ বাসায় নিয়ে আসা হয়।দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস পরে ১৩ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখ এ হঠাৎ মুমেন কথা বলার অবস্থায় ফিরে এসে সত্যি ঘটনা প্রকাশ করে যা শুনে সকলে হতবাক। আহত মুমেন যানায় যে তার সাথে কোন দুর্ঘটনা ঘটে নি বরং তাকে প্রানে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। যাহারা তার উপর আক্রমণ করে তাদের মধ্যে একজন কে সে চিনতে পেরেছে তার নাম হেলাল সে মুমেন এর পাশের গ্রাম মইশাখালির বাসিন্দা। তারা দুইজন একই মহাজন এর ট্রাক চালায়। ঘটনার দিন রাত এ হেলাল মুমেন কে কল দিয়ে বলে তাদের কে নেত্রকোনা নিয়ে আসার জন্য। তখন মুমেন সেই যায়গায় গিয়ে তার হেল্পার কে পাঠায় হেলাল কে গাড়ির সামনে নিয়ে আসার জন্য। তখন হেল্পার জানায় যে তাকে মারধর করা হচ্ছে, সেই সময় মুমেন যায় তাকে উদ্ধার করতে কিন্তু গিয়ে দেখে হেলাল সেখানে। হেলাল মুমেন কে চর মারে এবং সাথে সাথে মুমেন এর চখ বেধে আরও অনেক এ মিলে মারধর করে। তার হাত পা ভেংগে ফেলে। বোতলে গরম পানি ভরে তা দিয়ে সেক দেয় আর মুমেন অচেতন হয়ে যায়।মুমেন এর পরিবার এর সূত্রে যানা যায় যেই হেলাল কে অভিযোক্ত করা হয়েছে সেই হেলাল এই মুমেন কে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং ভূল চিকিৎসা করায় যেন মুমেন কখনো সত্যি প্রকাশ না করতে পারে। হেলাল এর সাথে এই কাজ এ সহায়তা করে খায়রুল নাম এ একজন যে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে কাজ করে।মুমেন এর কাছে জানতে চাইলে মুমেন বলে হেলাল মুমেন কে দিয়ে অনেক সময় কিছু কার্টুন এর ভাড়া আনাত একদিন সেই কার্টুন এ ইয়াবা দেখতে পায় মুমেন আর মুমেন বলে আমি আর এই কাজ করব না তখন থেকে একটু শত্রুতা তৈরি হয়।মুমেন এর পরিবার ও এলাকা বাসি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।