ঈদে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।


editor প্রকাশের সময় : ২১/০৪/২০২৩, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ /
ঈদে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

 

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের উর্ধগতিতে ভয়াবহ বির্যয়ের মধ্যে রয়েছেন। এই অবস্থায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেয়া উচিত। সকলকে পবিত্র ঈদে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তারা বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার মধ্যদিয়ে অর্জিত সংযম ও সহমর্মিতার শিক্ষায় সমুজ্জল ঈদ-উল-ফিতর বিশ্ব মুসলিমের কাছে পবিত্র আনন্দের বার্তা নিয়ে সমুপস্থিত। ধনী-গরীবের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগির এক মোক্ষম সুযোগ হচ্ছে ঈদ-উল-ফিতর। নেতৃদ্বয় বলেন, মাসব্যাপী রমজানের আত্মশুদ্ধির মহান দীক্ষার মধ্য দিয়ে আসে ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মুহূর্ত। কিন্তু এমন এক সময় আমাদের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপস্থিত যখন দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনজীবন বিপর্যস্থ। লুটেরাদের লুটপাটে সাধারন মানুষের জীবন দুর্বিষহ। তবুও দেশের বিদ্যমান ক্রান্তি-লগ্নে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঈদের আনন্দ নিজেদের ভাগ করে নিতে হবে। বিত্তবানদের উদ্দেশ্য করে ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, কোনো অসহায় ও দুস্থ শ্রমজীবী মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে নিরন্ন, শ্রমজীবী মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে। বর্তমানে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এ অবস্থায় বিত্তবানদের উচিত অসহায়, দরিদ্র আত্মীয়-স্বজন, অধিনস্থ, প্রতিবেশীসহ ক্ষতিগ্রস্থ সকল গরিব-দুঃখী মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। তারা বলেন, সিয়াম সাধনার সহমর্মিতার শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত, নির্যাতিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ব্যক্তি ও সমাজকে কলুষমুক্ত করতে হবে। জুলুম, নির্যাতন, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতিসহ সমাজে বিদ্যমান অন্যায়, অসংগতি ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। মানুষের হৃত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হতে হবে। নির্যাতিত মানবতার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। নেতৃদ্বয় বলেন, বিশ্বব্যাপী চলমান যুদ্ধ সংঘাত হানাহানি বন্ধ করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মুসলামনদের উপর ধর্মীয় কারণে জুলম- নিপিড়ন চালানো হচ্ছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাস ইহুদীবাদী ইসরাইলে হাতে অবরুদ্ধ। ফিলিস্তিনী জনগণসহ উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা মুসলিম, উইঘুর, কাশ্মীর, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের লক্ষ কোটি মজলুম নারী পুরুষ শিশু আজ অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব মজলুমানের মুক্তির জন্যে বিশ্ব মুসলিমকে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাণীতে নেতৃদ্বয় বাংলাদেশের জনগণ ও মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্ববাসীর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, এই পবিত্র দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমীয় ধারা। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দিনে আমারা এই কামনা করি।