‘মে’ দিবসে শোষণমুক্তির সংগ্রামের শপথ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ


editor প্রকাশের সময় : ০১/০৫/২০২৪, ২:১২ অপরাহ্ণ /
‘মে’ দিবসে শোষণমুক্তির সংগ্রামের শপথ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

সংকটকালে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত, শ্রমজীবী মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান ও চিকিৎসার নিশ্চয়তার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছেন মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ‘মে’ দিবস। মেহনতি জনতার আত্মোৎসর্গের পথ বেয়ে আবারও ফিরে এসেছে মে দিবস। মহান মে দিবসে নতুন করে শপথ নিয়ে শ্রমিকশ্রেণিকে সব ধরনের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। মে দিবসের বিপ্লবী প্রেরণায় শোষণমুক্তির সংগ্রাম এগিয়ে নিতে হবে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ১ মে ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। তারা বলেন, ১৮৮৬ সালের এমন একটি দিনে শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিক শ্রেণীর প্রাপ্য অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্যে, শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং আত্মত্যাগের যে গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিলো, তা অনাদিকাল ধরে বিশ্বের সকল শ্রমিকের কাছে স্বর্নোজ্বল হয়ে থাকবে। মহান মে দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মেহনতি মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, অম্লান মে দিবসের অন্তর্নিহিত শক্তি ও তাৎপর্য আমাদের জাতীয়, রাষ্ট্রীয় এবং সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুসরণ করে চলতে হবে। শিকাগোর শ্রমিক আন্দোলনের সেই মহান নেতা পারসন্স ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে গেছেন, “আমাদের প্রাণ উৎসর্গ করছি পৃথিবীর সকল মানুষের দাবী প্রতিষ্ঠার জন্য।” তারা বলেন, এ-সময় সবচেয়ে হুমকির মধ্যে পড়েছেন দেশের শ্রমজীবী মানুষ। পুঁজিবাদী সমাজের বিভৎস রূপ তুলে ধরেছে। মুনাফার জন্য লুটেরারা কতটা বেপরোয়া, দায়িত্বহীন, হিংস্র হতে পারে, তা চলমান করোনা-মহাসংকটকালে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শ্রমিকদের নিয়ে মালিক আর সরকারের ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করতে হবে। নেতৃদ্বয় বলেন, ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ শ্রমজীবী মানুষ কাজ হারিয়ে, ক্ষুধার যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার নিরন্ন মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরাদ্দের সামান্য লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। তারা সমগ্র শ্রমিকশ্রেণিসহ আপামর দেশবাসীকে মহান মে দিবসের বিপ্লবী শুভেচ্ছা জানিয়ে আরো বলেন, মে দিবস সারা বিশ্বের শ্রমিকশ্রেণি ও মেহনতি মানুষের নিজস্ব দিন। এই দিন শ্রমিকশ্রেণির সংগ্রাম, বিজয় আর উৎসবের দিন। আন্তর্জাতিক সংহতির এই দিনে শ্রমিকশ্রেণি শোষণমুক্তির সংগ্রামে নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে।