সিদ্ধিরগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের ওপর হামলা ভিডিও নিয়ে ট্রল


editor প্রকাশের সময় : ০৭/০৩/২০২৩, ৯:৫৩ অপরাহ্ণ /
সিদ্ধিরগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের ওপর হামলা ভিডিও নিয়ে ট্রল

নিজস্ব প্রতিবেদক মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না (খান)নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সুলতান আহমেদ নামে এক হাইওয়ে পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।তবে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধরের সময় পাশ দিয়ে পুলিশের একটি গাড়ি অতিক্রম করতে দেখা গেছে।সেই বিষয়টি মার্ক করে নেটিজেনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত ট্রল করেছে।অনেকে নানা রকম মন্তব্যও করছেন। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) হামলার ঘটনার ভিডিও নিয়ে নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল করা শুরু করেছে নেটিজেনরা।এতে প্রশ্ন উঠে, হামলার সময় পাশে দিয়ে যাওয়া পুলিশে গাড়ি থেকে কেন ওই পুলিশ সদস্যকে সহায়তা করতে কেউ এগিয়ে এলোনা?ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়,একজন নারীসহ কয়েকজন যুবক মিলে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক পুলিশ সদস্যেকে মারধর করছে।এ সময় ওই পুলিশ সদস্যের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে যায়।তবে ভিডিও’র একেবারে শেষ অংশে দেখা যায়,পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান অতিক্রম করছিল।সেই গাড়ির সামনের অংশে বড় করে পুলিশ লেখা ছিল।ভিডিও’র সেই অংশটুকু মার্ক করে নেটিজেনরা নতুন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করা শুরু করেছে।এর আগে,রবিবার (৫ মার্চ) দুপুরে মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ মাদানীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নারী নিলুফা বেগম (৩৪)কে গ্রেফতার করে পুলিশ।পরে সোমবার (৬ মার্চ) শিমরাইল হাইওয়ে ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ এসআই) দিলীপ কুমার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।মামলায় ওই নারীসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।পুলিশ ও মামলা জানা গেছে,রবিবার দুপুর দেড় টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দায়িত্বপালন করছিলেন হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সুলতান আহমেদ।এ সময় সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাংরোডগামী উল্টোপথে একটি অটোরিকশা আসতে দেখে থামার সিগন্যাল দেন কনস্টেবল সুলতান আহমেদ।তবে অটো চালক দ্রুত গতিতে রিকশাটি ঘুরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নারী যাত্রী নিলুফা বেগম সহ রিকশাটি উল্টে পড়ে যায়।এতে ওই নারী যাত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে যায়।পরে ওই নারী তার মোবাইলের জরিমানা স্বরুপ কনস্টেবল সুলতানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং তার কলার ধরে টানা-হেঁচড়া করে।এ অবস্থা দেখে আশে-পাশের কয়েকজন লোক এসে ওই পুলিশ কনস্টেবল সুলতান আহমেদকে মারধর করে।ফলে পুলিশের পরিহিত পোশাক ছিঁড়ে যায়।এদিকে পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় নিফুলা বেগম।এ সময় স্থানীয় দোকান মালিকেরা এসে পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করে এবং ওই নারীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।তবে অপর হামলাকারীরা ও অটোচালক রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ এসে ওই নারীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা দৈনিক সকাল প্রতিদিনের নিজস্ব সংবাদদাতাকে জানান,উল্টোপথে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।এ সময় কনস্টেবল সুলতান আহমেদ রিকশাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে সে ব্যালেন্স হারিয়ে অটোরিকশাটি উল্টে যায়।আর নারী যাত্রী মাটিতে পড়ে ব্যথা পান এবং তার মোবাইল ফোন ভেঙ্গে যায়।মূলত একারণে ওই নারী ক্ষিপ্ত হয়ে সুলতান আহমেদের কলার টেনে ধরেন।এ সময় আশেপাশের আম-জনতা উত্তেজিত হয়ে সুলতান আহমেদকে মারধর করে।এ বিষয়ে শিমরাইল ট্রাফিক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) এ কে এম শরফুদ্দিন দৈনিক সকাল প্রতিদিনকে জানান,এই ঘটনায় মামলা হয়েছে।বিষয়টা তদন্তাধীন রয়েছে।নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর বলেন,এই ঘটনায় একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকি আসমিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।তবে কে বা কারা ভিডিও ভাইরাল করেছে তা জানা নেই।তবে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় আমরা আসামিদের শনাক্ত করতে সুবিধা হচ্ছে।বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।হামলার সময়ে পুলিশের গাড়ি পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেও কেন সুলতানকে উদ্ধার করলো না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি পুরো ভিডিও টি সম্পর্কে অবগত নই।তবে পাশে গিয়ে পুলিশের গাড়ি গিয়ে থাকলে সেটা নারায়ণগঞ্জ পুলিশের গাড়ি কিনা তা নিশ্চিত নই।