কাঁচপুর হাইওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার আরিফের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ


editor প্রকাশের সময় : ২৫/০৪/২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ /
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার আরিফের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ

সোনারগাঁ সংবাদদাতা। হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের অধীনস্ত কাঁচপুর হাইওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তাঁর অনৈতিক কর্মকান্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারী ছোট-বড় যাত্রীবাহী এবং পন্যবাহী পরিবহনের শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ফুটপাতের হকাররাও তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তাঁর দাবীকৃত উৎকোচ দিতে কেউ অস্বীকার করলে নির্মম নির্যাতনের মুখে পরতে হয় পরিবহন শ্রমিকদের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সাগর ফিলিং স্টেশনের সামনে দিয়ে সিএনজি নিয়ে যাওয়ার পথে চালক শিপনকে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে ৫০০ টাকা দাবী করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ। তখন সে দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে আটক করে কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় নিয়ে দুই ঘন্টা আটকে রাখে এবং তাকে বেধরক মারধর করে। তখন সে দাবীকৃত উৎকোচ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ৫০০০ টাকার মামলা দিয়ে সিএনজিটি ডাম্পিং করে।

এছাড়াও একই দিন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী ইকোনো (ঢাকা-মেট্টো-জ-১৪-৪৩৭৪) বাস সিগন্যাল দিয়ে সে কাগজ দেখতে চায়। তখন গাড়ীটির চালক জানায় যে, কাগজের ডেট ফেল রয়েছে। এসময় দূর্বলতার সুযোগ বুঝে গাড়িটি আটকের ভয় দেখিয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ মোটা অংকের উৎকোচ দাবী করে।

চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় তখন গাড়িটি ডাম্পিং করা হয়। কিছুক্ষন পর ওই গাড়ীর সুপারভাইজার ইমরানের কাছ থেকে ৮০০০ টাকা আদায় করে রেকার বিল এবং মামলা ছাড়াই গাড়িটি ছেড়ে দেন আরিফ।এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহাসড়কের পাশের ফুটপাতের এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, আরিফ স্যার প্রায় সময়ই আমার দোকান থেকে কাপড় নেয় কিন্তু টাকা চাইলে দেম দিচ্ছি করে। ভাই আমরা গরীব মানুষ, ফুটপাতে ব্যবসা করে সংসার চালাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহাসড়কের পাশের ফুটপাতের এক জুতা ব্যবসায়ী জানান, ওনি এসে যে জুতা পছন্দ হয় তা নিয়ে যায়। টাকা চাইলে বলে পরে। পুলিশ তাই ভয়ে কিছু বলতে পারি না। যদি ফুটপাত থেকে উঠিয়ে দেয়। সিএনজি চালক শিপন জানায়, ৫০০ টাকা দেই নাই দেইখা আমরা গায়ের জামা ধরে টাইনা-হেচরাইয়া থানায় ডুকাইয়া আমারে মারধর করছে। আমার কোন কথাই সে শুনে নাই। পরে ৫০০০ টাকার মামলা দিছে। অভিযুক্ত সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ মিথ্যা। চুন থেকে পান খসলেই আমাদের পুলিশের বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিকরা নানান অভিযোগ করে থাকে।

কাঁচুপর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জানান, যে অপকর্ম করবে, দায়-ভার তাকেই নিতে হবে। এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার (এডি. ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ এ ধরণের কাজ করতে পারে না। এ রকম কাজ করে থাকলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।