দুই গ্রুপের প্রধান আপন দুই ভাইসহ গ্রেফতার -১৭


editor প্রকাশের সময় : ২৫/০৩/২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ণ /
দুই গ্রুপের প্রধান আপন দুই ভাইসহ গ্রেফতার -১৭

নিজস্ব সংবাদদাতা।। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার ‘টেনশন গ্রুপ’ ও ডেভিল এক্সো গ্রুপ নামে দুই কিশোরগ্যাং এর প্রধান আপন দুইভাইসহ ১৭ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছেন র‌্যাপিড এ্যাকশন বেটালিয়ান র‌্যাব-১১।

সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র‌্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক মেজর সানরিয়া চৌধুরী। এর আগে রোববার রাতে মিজমিজি এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই দুই বাহিনীর সদস্যদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, টেনশন গ্রুপের প্রধান সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রাইসুল ইসলাম সীমান্ত (২২), সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬), সানারপাড় এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন হোসেন (২৪), মিজমিজি নাদা পাড়া এলাকার আমিন উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকার খোকন শেখের ছেলে রাব্বি মিয়া (২৫), সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে প্রিতম রোবায়েতি ইসফাক (২৯), ডেবিল এক্সো গ্রুপের লিডার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিকের ছেলে সারিব মিয়া (১৯), একই এলাকার হারুনের ছেলে আশিক মিয়া (১৯), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নাঈম মিয়া (১৯), আজাদ শিকদারের ছেলে তুহিন হোসেন (১৮), খন্দকার মোহাম্মদ নুুরুল্লাহর ছেলে রোসমান মিয়া (১৯), বাক্কির আলীর ছেলে মোঃ শাহাদৎ মিয়া, তাজুল ইসলামের ছেলে সৌরভ মিয়া (২০), নুর নবীর ছেলে মাহিন মিয়া (২০), ইমান আলীর ছেলে তুষার মিয়া (২০), নবীর হোসেনের ছেলে সৌরভ মিয়া (১৯), আনোয়ার হোসেনের ছেলে আরিফ মিয়া (১৯)।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, গত বছরের ৩১ আগস্ট, ৫ এবং ৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মধ্যরাতে পরিচিত গ্যাং টেনশন গ্রুপের নেতা রাইসূল ইসলাম সীমান্ত ও তার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এছাড়াও তাদের সক্রিয় এলাকায় উঠতি বয়সি ছাত্রদের টার্গেট করে মাদকদ্রব্য সেবনে প্ররোচিত করে তাদের গ্রুপে যোগদান করিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

গ্রেফতারকৃত “টেনশন গ্রুপ” ও “ডেভিল এক্সো” গ্রুপের আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাইসুল ইসলাম সীমান্ত “টেনশন গ্রুপের”ও প্রধান এবং সারিব মিয়া “ডেভিল এক্সো গ্রুপ” এর দলনেতা। গ্রেফতারকৃত আসামীরা রাস্তায় চলাচলরত জনগণের মালামাল ছিনতাই, বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, মালবাহী ও যাত্রীবাহী পরিবহণে নিয়মিতভাবে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে থাকে। আসামীরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে শক্তির মহড়া বা দাপট প্রদর্শন করে জনমনে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী তাদের সহিংসতা , অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।

র‌্যাব-১১ আরও জানায়, “টেনশন গ্রুপ” এর দলনেতা রাইসুল ইসলাম সীমান্ত (২২) এবং সদস্য প্রিতম রোবায়েতি ইসফাক (২৯) ও “ডেভিল এক্সো” গ্রুপ এর সদস্য আশিক মিয়া (১৯) এবং নাঈম মিয়ার (১৯) বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।
র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে:কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের বড় ছেলে টেনশন গ্রুপের প্রধান রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও মেজো ছেলে মাফিয়া গ্রুপের প্রধান তাহসিন ইসলাম সিমন ও ছোট ছেলে ডিভেল এক্সো গ্রুপের প্রধান সাকিবুল ইসলাম সারিফ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে।

অভিযান চালিয়ে টেনশন গ্রুপের প্রধান রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও ডেভিল এক্সো গ্রুপের প্রধান সাকিবুল ইসলাম সারিফসহ দ্ইু গ্রুপের সতেরজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরদিকে মাফিয়া গ্রুপের প্রধান তাহসিন ইসলাম সিমনকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান র‌্যাবের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। ইতপূর্বে এই গ্রুপের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছিলো। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।