ঝিনাইগাতীতে  ডিবি পুলিশের অভিযানে ১৩৮ বোতল ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার ১


editor প্রকাশের সময় : ২৭/০৪/২০২৪, ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ /
ঝিনাইগাতীতে  ডিবি পুলিশের অভিযানে ১৩৮ বোতল ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার ১

স্টাফ রিপোর্টার। শেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবির) মাদকবিরোধী অভিযানে  ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ১৩৮ বোতল মদ সহ সীমান্ত জনপদের শীর্ষ  মাদক ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী (৩৫) কে  গ্রেফতার  করা হয়েছে।  ২৪ শে এপ্রিল বুধবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী নও কুচি এলাকা থেকে তাকে ১৩৮ বোতল ভারতীয় ব্যান্ডের  মদ সহ গ্রেপ্তার করা হয়।  যার আনুমানিক মূল্য ৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।  গ্রেফতারকৃত ইয়াকুব আলী (৩৫) ঝিনাইগাতী  উপজেলার রাংটিয়া গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে।  সে দীর্ঘদিন যাবত গজনী অবকাশ,  ছোট গজনী,  নকশি, রাংটিয়া,  সন্ধ্যা কুড়া,   নওকুচি সহ বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রাম গুলোতো অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুঁলো দিয়ে   রমরমা ভাবে মাদক ব্যবসা করে আসছিল।  ডিবি সুএে জানা যায়, মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে শেরপুর জেলা ডিবির ওসি আবুল কালাম আজাদের তত্ত্বাবধানে  ডিবির চৌকস উপ-পুলিশ পরিদর্শক ( এস আই) শফিকুর রহমান সজীবের নেতৃত্বে  এএসআই মতিউর রহমান,  এএসআই সোরহাব আলী সঙ্গীয় ডিবি  পুলিশের একটি অভিজনিক দল ২৪ শে এপ্রিল  বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী নওকুচি এলাকার  রাজু মিয়ার বাড়ির সামনে মহিলা মার্কেট হইতে খেলার মাঠগামী কাঁচা রাস্তার উপর মাদক ক্রয় বিক্রয় কালে ইয়াকুব আলীকে আটক করে পরবর্তীতে তার হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়  ভারতীয় ব্যান্ডের ১৩৮ বোতল আমদানি নিষিদ্ধ মদের বোতল।  ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াকুব আলীর  অন্যতম সহযোগী সীমান্ত জনপদের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ডাকাবর গ্রামের কালাচাঁন মিয়ার ছেলে জুয়েল রানা  পালিয়ে যায়।  এ ঘটনায় ডিবির এসআই মো শফিকুর রহমান সজীব বাদি হয়ে ২৫ শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার  ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঝিনাইগাতী থানায় ধৃত ইয়াকুব আলী ও তার সহযোগী জুয়েল রানাকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।  অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এসআই শফিকুর রহমান সজীব জানায়,   দীর্ঘদিন থেকেই সীমান্ত এলাকাগুলোতে ইয়াকুব আলী ও জুয়েল রানা মাদক ব্যবসা করে আসছিল। তারা আমাদের নজরদারিতে ছিল। তারা পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে চোরাই পথে মাদক এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকে।  শেরপুর ডিবির ওসি আবুল কালাম আজাদ মাদক উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে  বলেন,  পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম মহোদয়ের নির্দেশে   ডিবি পুলিশ জেলায় মাদক নির্মূলে তংপর  রয়েছে।  সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে। মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই। ইয়াকুব আলী ও জুয়েল রানা সীমান্ত জনপদের  তালিকাভুক্ত মাদক  ব্যবসায়ী।   গ্রেফতারকৃত ইয়াকুব আলীকে শুক্রবার  দুপুরে  বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার উপর সহযোগী জুয়েল রানাকে ধরতে ডিবির একাধিক টিম  মাঠে রয়েছে।