ট্রেনের ভোগান্তি শুধু দিনাজপুরীরাই বোঝে


editor প্রকাশের সময় : ০৩/০৪/২০২৪, ৮:৩০ অপরাহ্ণ /
ট্রেনের ভোগান্তি শুধু দিনাজপুরীরাই বোঝে

মোঃ রাজু মিয়া, দিনাজপুর
দিনাজপুরের মতো ১৯ টা স্টেশন বাংলাদেশের কোনও জেলায় নেই। ট্রেন যে রুটেরই হোক, নষ্ট হলে তার পার্বতীপুর-সৈয়দপুরের কারখানা ছাড়া গতি নেই। অথচ, রেল কর্তৃপক্ষ যেন যাবতীয় ভোগান্তি দিনাজপুরের জন্যই বরাদ্দ করে রেখেছে…

আসন সংখ্যা না বাড়িয়ে দিনাজপুরের দুই ট্রেন একতা ও দ্রুতযান পঞ্চগড় পর্যন্ত যায়। ফলে, প্রয়োজনের অর্ধেক টিকিটও পায় না দিনাজপুরের মানুষ। এর ওপর আছে কালোবাজারি। ৪০০ টাকার টিকেট ৮০০ টাকার নিচে পাওয়াই দুষ্কর..

গতকাল ইদ উপলক্ষে অতিরিক্ত বগির টিকেট ছাড়া হয় পঞ্চগড়, দ্রুতযান ও চিলাহাটি এক্সপ্রেসের। এতে আসন ছিল ১০৫ টি করে।

অথচ কোনো ট্রেনেই মধ্যবর্তী স্টেশনের টিকিট নেই। মানে কেবল বিরামপুর-ফুলবাড়ী-চিরিরবন্দর বা সেতাবগঞ্জই না, যিনি নাটোর-জয়পুরহাটেও নামবেন, তাকে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে পঞ্চগড় বা চিলাহাটি পর্যন্ত টিকেট কাটতে হবে!

পঞ্চগড় এক্সপ্রেস দিনাজপুরের দুটি হটস্পট বিরামপুর ও ফুলবাড়ীতে স্টপেজ দেয় না। দ্রুতযান-একতাকে আবার জায়গায় জায়গায় স্টপেজ দিয়ে, ক্রসিং খেয়ে নিয়মিত শিডিউল বিপর্যয় করতে হয়।

ঘোড়াঘাট, হাকিমপুরের অনেক মানুষ হিলি স্টেশন ব্যবহার করতেন। এখন এই বহুল ব্যবহৃত স্টেশনে ঢাকাগামী তো দূরের কথা, আন্তঃনগর একটা ট্রেনেরও স্টপেজ নেই।

তবু আমরা বাড়ি ফিরি, আমাদের ঘরে ফেরার আকুতি – আবেগকে পুঁজি করে সরকারের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যে অবিচার হচ্ছে, তা নিয়ে কিছু বলি না। কিন্তু কথা হচ্ছে, গোটা দেশে যখন রেল আধুনিকায়ন হচ্ছে, বিস্তৃত হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে, তখন আমাদের এই ভোগান্তি আর কতদিন পোহাতে হবে? রেলের হিসাবে কি দিনাজপুর বাংলাদেশের বাইরে?