চিরিরবন্দরে জমি ভাগাভাগির জেরে দিনাজপুরের একমাত্র জাতীয় সাঁতারুকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


editor প্রকাশের সময় : ২৪/০৫/২০২৩, ৯:৩২ অপরাহ্ণ /
চিরিরবন্দরে জমি ভাগাভাগির জেরে দিনাজপুরের একমাত্র জাতীয় সাঁতারুকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
 স্টাফ রিপোর্টারঃ
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আপন ছোট ভাইকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (২২শ মে) দুপুর আনুমানিক ১ ঘটিকায় উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের গলাহার গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে একইদিনে ছোটভাই বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলা প্রেস ক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি । লিখিত সংবাদ সম্মেলনে মাহামুদুরল ইসলাম বলেন “আমি মোঃ মাহামুদুল ইসলাম (২৮) দিনাজপুর কেবিএম কলেজ থেকে অনার্স ও দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে মাষ্টার্স শেষে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিপিএড ও এমপিএড শেষ করি এবং পঞ্চগড়ের একটি প্রাইভেট কলেজে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করি”। মাহামুদুল পড়াশোনার পাশাপাশি দিনাজপুর, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি, সে থেকেই এক সময় হয়ে উঠি উপযুক্ত সাঁতারু। ২০২০ সালে “বাংলা চ্যানেল (১৬.১ কি.মি) সুইমিং অ্যাডভেঞ্চারে” অংশগ্রহণকারী সাঁতারুদের মধ্যে দিনাজপুর জেলা থেকে একমাত্র সাঁতারু হিসেবে অংশগ্রহণ করি। পরের বছর ২০২১ সালে “মুজিববর্ষ শেখ কামাল তিস্তা (৪৬ কি.মি) সুইমিং অ্যাডভেঞ্চারে”, ২০২২সালে “ টাঙ্গুয়ার হাওর (১৫ কি.মি) দুরপাল্লার সাঁতারে” অংশগ্রহণ করি। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ঢাকায় বসবাসরত সময়ে পারিবারিক সূত্রে পাওয়া পৈত্তিক সম্পত্তি বাড়িতে থাকা আপন বড়ভাই মিজানুর রহমানের দায়িত্বে ছিলো, দুই ভাইয়ের জমিই দেখাশোনা করতেন বড়ভাই। আমার আপন বড় ভাই মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী মনজিলা বেগম বাবার পৈত্তিক সম্পত্তি একাই ভোগদখল করে আসছিলো। বড় ভাইয়ের কাছে বাবার পৈত্তিক সম্পত্তির ভাগ চাইতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও প্রাণনাশেরর হুমকি দেয় বড় ভাই মিজানুরসহ তার পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে গত ১১ই মে চিরিরবন্দর থানায় উপস্থিত হয়ে নিজের জীবনের নিরপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করি, সাধারণ ডায়েরী নং- ৫৭৪। এবিষয়ে এলাকার মহৎপ্রধানসহ আউয়িাপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে একাধিক সালিশে তাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের কোন তোয়াক্কা করেন না বড় ভাই মিজানুর। পরে আবারও চিরিরবন্দর থানায় সালিশে দেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে চলে যায়। গত সোমবার (২২শে মে) বাবার দেয়া বাড়ির পাশের জমিতে কাজ করতে গেলে বড় ভাই-ভাবীসহ সন্ত্রাসীরা অকথ্যভাষায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে ও তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে বেধরক মারধর করেন। সন্ত্রাসীরা আমার সামনে ধারালো অস্ত্র বের করলে আমি প্রাণের ভয়ে পালিয়ে গেলে তারা আমার বাড়ি ভাংচুরের উদ্দ্যেশে বাড়িতে প্রবেশ করে টেবিলের ড্রয়ারে রক্ষিত ১,৩৫,০০০/-(এক লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকাসহ বাড়িতে থাকা দামী জিনিসপত্র লুটপাট করে ও ঘরে তালা মেরে দেয়। পরে আমি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে আইনের সহযোগিতা চাইলে থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং তালা খুলে দেয়। এরপর থেকেই আমি প্রাণের ভয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছি। এমতাবস্তায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থী, আমি একজন জাতীয় সাতারু আমার জীবনের নিরাপত্তা সহ পারিবারিক সূত্রে পৈত্তিক সম্পত্তি উদ্ধারে সকলের সহোযীতা কামনা করছি।