ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, উচ্চশিক্ষা-গবেষণাসহ খাতভিত্তিক ১০ চুক্তির সম্ভাবনা


editor প্রকাশের সময় : ২৮/০৩/২০২৪, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ /
ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, উচ্চশিক্ষা-গবেষণাসহ খাতভিত্তিক ১০ চুক্তির সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে আগামী ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

তার সফরে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কাতারের আমির আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝিতে এ অঞ্চলের বেশকয়েকটি দেশ সফর করার কথা রয়েছে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে কাতারের আমিরের ঢাকা সফর নি‌য়ে প্রস্তুতি চলছিল।

অবশ্য ওই সম‌য়ে প্রধানমন্ত্রীর এক‌টি বিদেশ সফর রয়েছে, তা দোহাকে জানায় ঢাকা। এর মধ্যে অনেকটা হঠাৎ করেই দোহা আমিরের সফরের চূড়ান্ত তারিখ জানায়। যদি সব কিছু ঠিক থা‌কে আমির ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসবেন।

কূটনৈতিক সূত্রগু‌লো বলছে, ঢাকা সফরে আমির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। সেখানে জ্বালানি, জনশক্তি রপ্তানি, ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তত ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বিদ্যমান এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্টের জরুরি সংশোধন, সামুদ্রিক পরিবহণ সেবা চুক্তি, দ্বৈত কর প্রত্যাহার, শুল্ক খাত, উচ্চশিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যৌথ বাণিজ্য পরিষদ ও যৌথ কমিশন গঠন। তাছাড়া বন্দি প্রত্যর্পণের বিষয়েও একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি চলছে।

কূটনৈতিক সূত্রগু‌লো আরও বলছে, কাতার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। এ সংক্রান্ত দোহার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও রয়েছে। যা ঢাকাকে খানিক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।

বিদ্যমান বাস্তবতাকে মাথায় রেখে দোহার প্রস্তাবটি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে ঢাকা। নিশ্চিতভাবে আমিরের সফরে প্রস্তাবটির ওপর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হবে।সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হলে পরবর্তী কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও আসতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত মার্চে ঢাকা-দোহা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আমিরের সফরে সেই সহযোগিতার বাস্তব রূপরেখা কি হবে, তা নিয়ে কথা হবে।

সমঝোতা মতে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের কাতারে কাজ করার কথা। তাছাড়া দেশটির নৌ-বাহিনীর সঙ্গে কোস্টগার্ডের একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে, যার আওতায় কোস্টগার্ডের সদস্যরা কাতারে কাজ করছেন।

শীর্ষ পর্যায়ের এই সফরে মোটাদাগে দ্বিপক্ষীয় বোঝাপড়া আরও পোক্ত হবে বলে ধারণা করছেন সং‌শ্লিষ্টরা।।