সুন্দরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে সুখে আছে সুবিধাভোগীরা


editor প্রকাশের সময় : ২১/০৩/২০২৩, ৯:৫১ অপরাহ্ণ /
সুন্দরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে সুখে আছে সুবিধাভোগীরা
বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন, স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভূমিহীন জরিনা, সুষমা, রোকেয়া ও জামিলাদের জীবনমান। খাস জমি কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে ভাঙা ঘরে থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতেন তারা। কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়ে স্থায়ী ঠিকানা পাওয়ায় তাদের জীবনযাত্রা বদলে গেছে। নিজের একটি পাকা-পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারে নিরাপদ ও মজবুত স্থায়ী ঘর পেয়ে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এসব ঘরে বসবাস করা মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানবেতর জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাবন করছেন। বর্তমানে সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগে পাকাবাড়ী পাওয়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো অনেক খুশী। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ১হাজার ৬’শ ৯২জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে বিনামূল্যে জমি ও রঙিন টিন দিয়ে আধাপাকা ঘর করে দিচ্ছে সরকার।ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১হাজার ১’শ ৯২ জনকে বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্প-২এর আওতায় আরো ৫’শত জন গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর প্রদানের লক্ষে ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।যার মধ্যে আগামী ২২মার্চ সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাদের হাতে ঘরের দলিল প্রদান করবেন। সেদিন সুন্দরগঞ্জে চলমান ৫শ ঘরের মধ্যে ২শ ৮৯জনকে ঘরের দলিল প্রদান করবে উপজেলা প্রশাসন। শীঘ্রই এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের-২ কাজ শেষে হলে বাকি ভূমিহীনদের হাতে এই ঘরের চাবি ও দলিল তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকার ভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখন অনেক ভাল আছেন। কারণ, এখানে শুধু তারা বাড়ি উপহার পাননি পেয়েছে মাথা গোজার ঠাই পেয়েছে জীবনের শেষ ঠিকানা। এছাড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পাকা টয়লেট, যা তাদের সপ্ন ছিল, আজ প্রধানমন্ত্রী তাদের সব স্বপ্নই বাস্তবায়ন করেছে। কথা হয় রামজীবন ইউনিয়নে অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরে বসবাসকারী জাহানারার সাথে তিনি জানান,আগে রাস্তার ধারে খুপড়ি ঘরেই ছিলো আমাদের বসবাস। আমার স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই। আমার তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করতাম। তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে এখন অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি। আমাদের ইউএনও স্যার আমার ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ আমার একটা পাকা বাড়ি আছে। আমি নিশ্চিন্তে এখন ছেলে মেয়েদের নিয়ে ঘুমাতে পারছি। আল্লাহ যেন ইউএনও স্যারকে খুব ভালো রাখেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছি আল্লাহ যেন উনাকেও সবসময় সুস্থ রাখেন। ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন কাপাসিয়া ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম তিনি বলেন,পরিবারে ছেলে, মেয়ে ও আমার স্ত্রীসহ মোট চার জনের বসবাস। সংসারে আয় উপার্জন করার ব্যাক্তি আমি নিজেই। নিজের কোন জমি বা বাড়ী ছিলো না আগে নদীর বান্দে বসবাস করতাম। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে আমি ধন্য। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত সুবিধাভোগীদের বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের মত একটি মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরাসরি সম্পৃক্ত করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমন একটি ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, যার কারণে আমরা কৃতজ্ঞ। উন্নত মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে সুবিধাভোগীরা যেন সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে এজন্য সবসময়ই তাদের খোঁজ খবর নেয়া হয়। কেউ কোন সমস্যায় পড়লে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে আমরা তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত পরিবারগুলো খুব খুশি কেননা তাদের না ছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই, না ছিল নির্দিষ্ট ঠিকানা। এখন তারা নির্দিষ্ট ঠিকানা পেয়েছে, ফলে শান্তিতে সুখের নীড়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে।
😆