বকশীগঞ্জে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন


editor প্রকাশের সময় : ১৩/০৫/২০২৩, ৭:৫৫ অপরাহ্ণ /
বকশীগঞ্জে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

মাসুদ উল হাসান।।জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক স্বামী মাহমুদুল আলম বাবু। তিনি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার দুপুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তি বাজারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম স্ত্রী থাকাবস্থায় ২০১৮ সালে উপজেলার ঘাসিরপাড়া গ্রামের জহুরুল হকের কন্যা সাবিনা ইয়াছমিনকে রেজিষ্টি কাবিন মুলে ২য় বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে ভরণপোষন ও বকশীগঞ্জ পৌর শহরে ৫ শতক জমি কিনে বাড়ি এবং ময়মনসিংহ শহরে ৩ শতক জমি কিনে দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সে আমাকে ব্ল্যাক মেইল ও নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করা শুরু করে। কোন কারন ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে সে। আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক ও আমার সকল সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সম্মানের ভয়ে সব কিছু মেনে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকি। গত ছয়মাস আগে তার গর্ভে আমার কন্যা সন্তান হয়। সন্তান হওয়ার পর থেকেই একটি কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় সে আমাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি,মামলার হুমকি দিতে থাকে এবং আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তার আচরণে অতিষ্ট হয়ে গত ৮ মে সোমবার আমি তাকে আইনগত ভাবে তালাক দিয়েছি। এরপর সে আমার বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় একটি সাজানো মামলা ও আদালতে একটি মামলা করে। এমনকি বিভিন্ন জনকে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর বিভ্রান্তিমুলক পোস্ট করে সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় করে আসছে। আপনাদের মাধ্যমে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের আইনে আওতায় আনার জোর দাবি জানাই। তিনি আরো বলেন,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। আইন মোতাবেক তালাক দিয়েছি। আদালতে মামলা করেছে আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই মেনে নিব। তার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই। তবে শিশু সন্তানটি আমার একমাত্র কন্যা সন্তান। আমার মেয়েকে আমি চাই। তার বিষয়েও আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

উল্লেখ্য,গত বুধবার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন। তার দাবি স্বামীর অধিকার চাওয়ায় নির্যাতন করা হয়েছে তাকে।