চাঁদার টাকা না দেওয়ায় অপহরণ করে নির্যাতন, ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন


editor প্রকাশের সময় : ০৫/০৫/২০২৪, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ /
চাঁদার টাকা না দেওয়ায় অপহরণ করে নির্যাতন, ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

মো: জুয়েল রানা, তিতাস প্রতিনিধি: কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় অপহরণ করে নিয়ে নির্যাতন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। রবিবার (৫ মে) সকলা ১২ টায় তিতাস প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের স্বীকার মো. শামিম মিয়া (২০) এর বড় ভাই মো. পলাশ বক্তব্যে বলেন, আমরা মঙ্গলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। আমার বোন পান্না আক্তারের নিকট পাশ্ববর্তী মাছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মীর শওকত লিটনসহ আরও কয়েকজন মিলে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আমার ছোট ভাই শামিমকে অহরণ করে নিয়ে নির্যাতন করে। পরে আমি ৯৯৯ এ ফোন করলে তিতাস থানার এস আই তানভীর এসে ফরিদপুর সড়ক থেকে আহত অবস্থায় আমার ভাইকে উদ্ধার করে। বর্তমানে আমার ভাই তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন আছে। আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এঘটনার সঠিক বিচার চাই।এসময় সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, পলাশ, পান্না আক্তার ও নির্যাতনের স্বীকার মো.শামিম। এবিষয়ে মীর শওকত লিটন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট এবং এক কল্পকাহিনী। মুল ঘটনা হলো শামিম একজন মাদক ব্যবসায়ী ও উৎশৃংখল। সে প্রতিদিন নামাজের সময় বিকট শব্দ করে বাইক চালায় এতে আমার ছেলে বাধা দিলে তা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।পরে বিষয়টি আমি জানতে পাই এবং দুজনকে বুজিয়ে বলি তারা চলে যায়। পরবর্তীতে আবারও শনিবার তারা দুজনে ঝগরা করে, এমন সময় আমি এক বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার পথে সামনে পরি তখনও আমি আমার ছেলেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে শামিমকে আমার সাথে বিয়ের দাওয়াতে নিয়ে যাই। তিনি আরও বলেন, শামিম ও পান্না তারা ভাই-বোন দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি করে আসছে। তাদের মা রাশিদাও জীবিত থাকতে মাদক বিক্রি করতো। আমরা এলাকায় মাদক বন্ধের উদ্যোগ নেওয়াতে তারা আমাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। আমি এঘটনার সঠিক বিচার চাই। এবিষয়ে তিতাস থানার এসআই তানভীর বলেন, আমি ৯৯৯ ফোন পেয়ে মঙ্গলকান্দি মাদ্রাসার এখানে গিয়ে পৌঁছে স্থানীয়দের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে ফরিদপুর সড়কে দিকে যাচ্ছি এমন সময় সায়েম নামের এক ছেলের সাথে ভিকটিম শামিম আহত অবস্থায় আসছে। তখন তাকে উদ্ধার করি এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাই।