অবৈধভাবে  চলছে পরিবেশ দূষণকারি চৌদ্দটি চুনা কারখানা


editor প্রকাশের সময় : ০৪/০৩/২০২৩, ৪:০৩ অপরাহ্ণ /
অবৈধভাবে  চলছে পরিবেশ দূষণকারি চৌদ্দটি চুনা কারখানা

নিজস্ব সংবাদদাতা।

পরিবেশ ছাড়পত্র এমনকি ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই।পরিবেশ দূষণ রক্ষার্থে আবাসিক এলাকা থেকে কারখানা সরিয়ে নিতে একাধিক নোটিশ দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর।তবু অদৃশ্য পন্থায় অবৈধভাবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চলছে পরিবেশ দূষণকারি চৌদ্দটি চুনা কারখানা।এতে শ্বাস জনিতসহ নানান রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে আশপাশের বাসিন্দারা।বিশেষ করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা।জানা গেছে, পরিবেশ নীতিমালা ও তিতাসের সার্কুলার অমান্য করে সিদ্ধিরগঞ্জের ঘনবসতি বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় চলছে চুনা কারখানা।পাথর পুড়িয়ে চুনা তৈরি করতে এসব কারখানায় সারাক্ষণ জ্বলে আগুন।ফলে উদগিরণ হয় দূষিত ধোঁয়া।পাথর পুড়ানোর পর চুনের ডাস্ট(পাউডার)বাতাসে উড়ে আশপাশ এলাকা হয়ে পড়ে ধোঁয়াছন্ন।এতে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। ডাস্ট ও ধোঁয়া দুইটিই জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।তিতাতের সার্কুলার অমান্য করে অনেক কারখানাতে ছাদ না দিয়ে খোলা আকাশে পুড়ানো হচ্ছে পাথর।যা সম্পূর্ণ নীতিবহির্ভূত।সরিজমিনে দেখা গেছে,থানা এলাকার সিআইখোলা কাঠের পুলে মেসার্স জাজিরা লাইমস,ওয়াপদা রোড সংলগ্ন মেসার্স খাজা লাইমস,ওয়াপদা কলোনি মেসার্স রহমান লাইমস,আটি ছাপাখানা রোড বাদশা লাইমস,মিজমিজি পূর্বপাড়ায় মেসার্স শরীফ লাইমস,আটি এলাকায় আশরাফ আলী লাইমস,মক্কীনগর এলাকায় মেসার্স ঢাকা লাইমস,হীরাঝিল খালপাড়ে মেসার্স সুরমা লাইমস,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশ সংলগ্ন সেমার্স ফয়সাল লাইমসসহ চৌদ্দটি চুনা কারখানা চলছে অবৈধভাবে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি নিয়ম ও পরিবেশ দূষণ রক্ষার্থে আবাসিক এলাকা থেকে এসব কারখানা সরিয়ে নিতে গত তিন বছর আগে নোটিশ করেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর। নির্দিষ্ট সময় দিয়ে কয়েক দফা নোটিশ করলেও অদৃশ্য কারণে অদ্যবধি পর্যন্ত এসব কারখানা সরানো হচ্ছেনা।কোন ব্যবস্থাও নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট দপ্তর।তবে গত তিন বছর ধরে কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন করছেন না।অপর দিকে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ণ করছেন না নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন।ফলে কারখানাগুলো বৈধতা হারালেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে চালানো হচ্ছে।সিআইখোলার বাসিন্দা বাবু বলেন, এলাকার পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ চুনা কারখনা।ডাস্ট ও ধোঁয়ার জন্য বাসা বাড়ীতে ঠিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় মালিকরা তাদের মনগড়া মতো কারখানা চালাচ্ছেন।কারখানার বৈধতা না থাকা সত্তেও কিভাবে চলছে এবিষয়ে কথা বলতে রাজি নয় কারখানা মালিকরা।তবে কারখানা স্থানান্তরে পরিবেশ অধিদপ্তরের চিঠি ও ছাড়পত্র নবায়ন না করার সত্যতা অস্বীকার করেছেন অনেকই।মেসার্স জাজিরা লাইমসের মালিক নাসিক এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম বলেন, কারখানা করার সময় এলাকায় বসতি ছিলনা।এখন হয়েছে। তবে সরকার চাইলে কারখানা সরিয়ে নেব।কিন্তু কোথায় নেব সেই দিক নির্দেশনা ও স্থান নির্দারণ করে দিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ।উপযুক্ত জমি ও পরিবেশ পেলে অবশ্যই কারখানা সরিয়ে নেওয়া হবে।নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,একেক কারখানাকে একেক মেয়াদে সময় দেয়া হয়েছিল।সরিয়ে না নেওয়ার বিষয়টি প্রধান কার্যালয়কে অবগত করেছি।এসব কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। দ্রুত সময়ে অভিযান চালানো হবে।