সোনারগাঁয়ে পারিবারিক বিরোধে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা


editor প্রকাশের সময় : ২৪/০২/২০২৩, ৪:১৩ অপরাহ্ণ /
সোনারগাঁয়ে পারিবারিক বিরোধে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা

শাহাদাত হোসেন নিজস্ব সংবাদদাতা।

সিদ্ধিরগঞ্জ (২৩’ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার)সোনারগাঁয়ে
সম্পত্তি ও পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সাদিপুর ইউপির বাইশটেকী গ্রামের স্বামী বিচ্ছেদকৃত নারী আলীমদ্দিনের মেয়ে আফরোজা(২৯)একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৪০),মো.শফিকুল ইসলাম(৪০)ও আব্দুল হালিম(২৫)এর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই),নারায়ণগঞ্জ
তদন্ত করছেন।জানাগেছে,ধর্ষণ চেষ্টার মামলার বাদীর পিতা আলীমদ্দিন ও তার স্বজনদের সাথে প্রতিপক্ষ
দেলোয়ারের পিতা মো. ইয়ানুছ আলী ও শফিকুলসহ তাদের স্বজনদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও এর জের ধরে পারিবারিকভাবে দ্ব›দ্ব চলে আসছে। এনিয়ে দেলোয়ারের পিতা মো. ইয়ানুছ আলী গং আদালতে আলীমদ্দিন গংয়দের বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানী মামলা করেন।সম্প্রতি ওই মামলায় তারা তাদের পক্ষে আদালতের রায় পান। এরপর থেকে বিরোধ আরো বাড়তে থাকে। আলীমদ্দিন গংরা প্রতিপক্ষ দেলোয়র, শফিকুল গংদের নানাভাবে ভয়ভীতি দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এ নিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠক বসে বিষয়টি সমাধান
করতে চাইলে আলীমদ্দিন গংরা আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।এর জের ধরে গত ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে প্রতিপক্ষরা শফিকুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে শফিকুল ও তার চাচা আলী হোসেনকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। এসময় লোকাজন এগিয়ে আসলে মো. রুবেল মিয়া নামে প্রতিপক্ষের একজন শফিকুলকে খুন করে বিদেশ চলে যাবে বলে নানা ভয়ভীতিসহ প্রাননাশের হুমকী দিয়ে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শফিকুল।এদিকে থানায় অভিযোগের খবর পেয়ে আলীমদ্দিন তার মেয়ে আফরোজাকে দিয়ে হামলার
ঘটনার একই দিন তারিখ উল্লেখ করে দেলোয়ার হোসেন (৪০), মো. শফিকুল ইসলাম (৪০) ও আব্দুল হালিম (২৫) এর বিরুদ্ধে ৩০ জানুয়ারি আদালতে আদালতে একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করান।অপরদিকে হামলার ঘটনায় যাতে মামলা না হয় এর কারণেই একই দিন তারিখ দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলায় অভিযুক্ত ভূক্তভোগী পরিবারের
লোকজন। অন্যের প্ররোচনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসাতেই এ মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন। তাদের দাবি প্রতিপক্ষ সত্যকে আড়াল করতে নানাভাবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টিসহ জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন এর থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়।অন্যদিকে স্থানীয়রা এটি একটি সাজানো মামলা দাবি করে বলেন, এলাকায় শান্তি শৃংখলা বিনষ্ট করে ফায়দা লুটার উদ্দেশ্যেই মামলাটি দায়ের করা হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে আইনশৃংখলাবাহিনী সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা করেন তারা।ধর্ষণ চেষ্টার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই),নারায়ণগঞ্জ এর পরিদর্শক আতাউর রহমান ভুইয়া বলেন, বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে
বিস্তারিত বলা যাবে।