লালমোহনে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ


editor প্রকাশের সময় : ১৯/০২/২০২৩, ৩:৫৪ অপরাহ্ণ /
লালমোহনে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

এম এ হান্নান ভোলা জেলা প্রতিনিধি।

ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো: সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অনলাইন সেবার সরকারি ফিসহ নানা খাতের ৬ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।এমন ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চর মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শফিউল্লাহ ও উদ্যোক্তা মো: মনিরুল ইসলাম।অভিযোগে বলা হয়, চরফ্যাশন উপজেলার চর মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ছিলেন মো: সিদ্দিকুর রহমান। ইউনিয়নের জন্মসনদ, মৃত্যুসনদসহ নানা অনলাইন সেবার সরকারি ফি নিয়মিত উদ্যোক্তা মনিরের কাছ থেকে সংগ্রহ করলেও তা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন সচিব।উদ্যোক্তা মো: মনিরুল ইসলাম জানান, সচিব সিদ্দিকুর রহমান চর মানিকা ইউনিয়ন পরিষদে থাকাকালীন সরকারি ফি বকেয়ার বিষয়টি নজরে আসেনি। তিনি যখন লালমোহনের বদরপুরে বদলী হলে হঠাৎই অনলাইন সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এসময় অনলাইনের ওটিপি কোডের জন্য আবেদন করলে তা সচিব সিদ্দিকুর রহমানের মোবাইলে চলে যায়। তার কাছ থেকে কোড চাইতে গেলে তিনি বলেন, টাকা বকেয়া থাকায় সেবা বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে হতভম্ব হয়ে যান মনিরুল।মনিরুল আরও বলেন, অনলাইন সেবার ফি বাবদ ২লক্ষ ২৩ হাজার টাকা ও পরিষদে অডিট আসলে সেসময় ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেন সচিব সিদ্দিকুর রহমান।চর মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শফিউল্লাহ বলেন, নিবন্ধনের সরকারি ফি সিদ্দিকুর রহমানের হাতে তুলে না দিলেই আমাকে জানাতেন তিনি। পরে মনিরকে জানালে সে সরকারি ফি সচিবের হাতে তুলে দিত। অথচ সরকারি কোষাগারে ওই টাকা জমা না দিয়ে সচিব নিজেই আত্মসাৎ করায় এখন অনলাইন সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আমার ইউনিয়নবাসীকে সেবা বঞ্চিত করে সচিব বদলী হয়ে বদরপুর চলে যায়।এদিকে শুধু সরকারি টাকা নয়, বিভিন্ন ভাতা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে সচিব সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সচিব সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি কোনও নিবন্ধনে কখনও স্বাক্ষর করিনি এবং কোনও টাকাও নেইনি।চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও আল নোমান বলেন, ইউপি সচিব সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।