সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ জনের বাড়ি নোয়াখালী


editor প্রকাশের সময় : ২৯/০৩/২০২৩, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ /
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ জনের বাড়ি নোয়াখালী

মোহাম্মদ আবু নাছের,ব্যুরো চীফ নোয়াখালী :

 

সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২ ওমরাহযাত্রীর মধ্যে আটজন বাংলাদেশী রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি নোয়াখালীতে।

 

তারা হলেন- জেলার সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর মালেক মোল্লার বাড়ির শরিয়ত উল্লাহর ছেলে মো: শহিদুল ইসলাম (২৬) ও চাটখিল উপজেলার নাহারখিল ইউনিয়নের পশ্চিম রামনারায়ণপুর ভূঁইয়াজি বাড়ির মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো: হেলাল উদ্দিন (৩৪)।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড় মো: শহিদুল ইসলাম। গত বছরের এপ্রিল মাসে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান শহিদুল। সেখানে একটি দোকানে কাজ করতেন তিনি। গতকাল ওমরাহ পালনের জন্য মক্কা নগরীর উদ্দেশ্যে কর্মস্থল থেকে রওনা হলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন শহিদুল। শহিদুলের চাচা বাবুল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

অপর দিকে, প্রায় ১ বছর ১ মাস আগে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে সৌদি আরবে যান মো: হেলাল উদ্দিন। সেখানে তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন। ২ ভাই আর ২ বোনের সবার বড় হেলালের হাজাবি নামে তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

 

হেলালের কর্মরত কোম্পানী থেকে ওমরা করার জন্য ৪ জন এক সঙ্গে মক্কা নগরীর উদ্দেশ্যে রওনা হলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনই মারা যান। হেলাল উদ্দিনের ছোট ভাই মো: রিপন হেলালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২ ওমরাহযাত্রীর মধ্যে আটজন বাংলাদেশী। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৮ জন বাংলাদেশী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

সোমবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী ওই বাস ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকার একটি সেতুর সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি উল্টে যায় ও এক পর্যায়ে সেটিতে আগুন ধরে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

 

জানা গেছে, বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় যাচ্ছিলেন। বাসের ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়।

 

বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশী। দুর্ঘটনায় মোট ২২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।