“মিউচুয়াল ট্রাভেলস্ এজেন্সির” নামে ভয়ঙ্কর প্রতারণার ফাঁদ”


editor প্রকাশের সময় : ০৪/০৫/২০২৪, ১০:০৮ অপরাহ্ণ /
“মিউচুয়াল ট্রাভেলস্ এজেন্সির” নামে ভয়ঙ্কর প্রতারণার ফাঁদ”

ঢাকা-রাজধানী বনানীর ২২ নং আতাটোর্ক টাওয়ারের ১০ম ফ্লোরে মিউচুয়াল ট্রাভেলস্ এজেন্সি, এর মালিক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বনানী এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, এই মিউচুয়াল ট্রাভেলস্ এজেন্সির অফিসের নাম ব্যবহার করে ভয়ঙ্কর প্রতারণার ফাঁদপেতে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তিনি আরো জানান, নারায়ণগঞ্জের এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর প্রলোভনের কথা বলে ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক সাইফুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, ওই ব্যাক্তি ট্রভেলস্ এজেন্সির অফিসে কয়েকবার এসে টাকা ফেরৎ না পেয়ে আমার সামনে কান্না করে ফিড়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিসা দিয়ে লোক পাঠানো হবে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এভাবে কত নিরীহ মানুষ প্রতারণা শিকার হচ্ছেন বলে এমনটা অভিযোগ পাওয়া গেছে বনানীর মিউচুয়াল ট্রাভেলস্ এজেন্সির মালিক সাইফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। আরো জানা যায়,  নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ৩নং ওয়ার্ডের তপন নামে এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে গত ২/৩ বছর আগে অষ্ট্রোলিয়া পাঠানোর প্রোলভনের কথা বলে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া হয়, ৪,৪০,০০০ (চার লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা। যশোর থেকে  আসা নাজমুল ও তার বন্ধুর কাছ থেকে প্রতারক সাইফুল ১৩ লক্ষ টাকা নেয় বলে জানান ভূক্তভোগীরা। নারায়ণগঞ্জ মদনপুর ২জন জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানো হবে বলে নেন প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এভাবে আরো অনেকের কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়া-কানাডার ভিসা দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলেও জানান একটি বিশ্বস্ত সূত্র। ভুক্তভোগী তপন বলেন, আমাকে ভিসা দিয়ে অস্ট্রেলিয়া পাঠাবে বলে আমার কাছ থেকে ৪,৪০,০০০ চার লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা নেয় প্রতারক সাইফুই। পরে আমাকে ভিসা দেওয়া তো দুরের কথা। আমার ভিসার বাবদ পাওনা টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে মিউচুয়াল ট্রাভেলস্ এজেন্সির মালিক মো. সাইফুল ইসলাম, আমাকে বৈষম্যে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদান করে । ভুক্তভোগী তপন আরো বলেন, এভাবে আরো অনেকের কাছ থেকে প্রতারক সাইফুল ইসলাম, বিদেশের প্রোলভনের কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা নিরীহ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। উক্ত বিষয়ে নিয়ে মিউচুয়াল ট্রাভেলস্ এজেন্সির মালিকের বিরুদ্ধে মর্মে গত ১৮/০২/২০২৪ ইং তারিখে  ভুক্তভোগী তপন, বনানী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার অভিযোগ নং (১২৮০), অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় বনানী থনার এস আই মো. আশরাফুল আলমকে। কিন্তু থানায় অভিযোগ করার পরও ভুক্তভোগী তপন কনো সুরাহা পাননি বলে মিডিয়া-কর্মীদের নিকট অভিযোগ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে মিউচুয়াল ট্রাভেলস্ এজেন্সির মালিক, মো. সাইফুল ইসলামকে অফিসে পাওয়া যায়নি। পরবর্তী তার মুঠোফোনে একাদিকবার  কল করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। মিউচুয়াল ট্রাভেল এজেন্সির মালিক, সাইফুল ইসলাম এর দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘলার কাছে উক্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা বলে বিষটি এড়িয়ে যান। অথচ অফিসের সব ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পরিচালনায় কাজ করেন মেঘলা। এভাবে বহু লোকের প্রতারণার শিকার বিষয়টি জানতে চাইলে কনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না বলেও জানান মেঘলা। উল্লেখ্য যে মিউচুয়াল ট্রাভেলস্ এজেন্সি অফিসটি মহিলা কর্মী ও কিছু ভাড়াতে গুন্ডাদের দ্বারাই বিভিন্ন কাস্টমারকে কৌশল অবলম্বন করে বসিভূত করা হয় বলে এমনটা অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অফিসের মহিলাদের মিষ্টির কথার সুরে বিশ্বাস করে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য হন ভুক্তভোগীরা। বনানীর নরডেন ইউনিভার্সিটি বিল্ডিংয়ের ৯ম ফ্লোরেও একটি মিউচুয়াল ট্রাভেলস্ অফিস রয়েছে। এছাড়া আরো অন্যান্য জায়গায় ও সাইফুল ইসলামের ট্রাভেল অফিস রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন নেতাকর্মী ও প্রশাসনদের ম্যানেজ করেন সাইফুল ইসরামের ভাই মো. শান্ত, এমনটা জানা গেছে। শান্তর সাথে কথা বলে দৈনিক বাংলাদেশের আলোতে সাংবাদিক বলে দাবি করেন তিনি। ……………………………………………………………….প্রাণ-প্রিয় সহকর্মী সাংবাদিক ভাই ও বোনদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে, প্রতারণার শিকার হইত পারে আপনার ভাই-বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন, পাশ্ববর্তী কিং বা পাড়াপড়শি। তাই নিউজটা আপনার পত্র-পত্রিকায় পাবলিশ করলে অন্ততঃ কিছুটা হলেও অসহায় ও নিরীহ মানুষের প্রতারণার হাত থেকে পরিত্রান পাবে। তাই আপনার পরিচিত সাংবাদিক ভাইদেরকে নিউজটি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ