মায়ের সই জাল করে জমি দখল, ছেলেসহ ছয়জনের ৫ বছরের কারাদণ্ড


editor প্রকাশের সময় : ১৯/০৫/২০২৩, ১২:০৫ অপরাহ্ণ /
মায়ের সই জাল করে জমি দখল, ছেলেসহ ছয়জনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মায়ের সই জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নামে জমির দলিল করার দায়ে দুই ছেলেসহ ছয়জনের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১৮ মে) নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ বদিউজ্জামানের আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।উক্ত মামলায় বিবাদী একরামুল আহসান কাঞ্চন ছাড়াও তার ছোট ভাই কামরুল আহসান বাদল এবং দলিল লেখক ইউনুস মিয়া, দলিলের স্বাক্ষী মির্জা ইমতিয়াজুর এবং দলিলের সনাক্তকারী মোঃ শাহাদাত হোসেন সহ মোট ৬ আসামীর একই সাজার আদেশ দেন আদালত।মামলার বিরবণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারী এবং ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারীতে কাঞ্চন ও বাদল আপন মায়ের নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত ১২৭ শতাংশ জমি জাল-জালিয়াতি করে নিজেদের নামে লিখে নেয়। কাঞ্চন ও বাদলের মা কমরের নেহার ২০১০ সালের ৪ঠা মার্চ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৩ বছর মামলার বাদী, সাক্ষী, আসামীদের পর্যবেক্ষণ করে নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষনা করেন।রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী কমরের নেহার সাংবাদিকদের বলেন, তার চার সন্তানের মধ্যে দুই সন্তান একরামুল আহসান কাঞ্চন ও কামরুল আহসান বাদল ফেতনবাজ। তারা অর্থলোভী ও জালিয়াত। তারা ওয়ারিশসূত্রে পর্যাপ্ত সম্পত্তি প্রাপ্তীর পরেও জাল-জালিয়াতি করে মায়ের সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখে নিয়েছে। এটা অপরাধ। আদালত তার আর্জি শুনছেন এবং সঠিক বিচার করে সঠিক রায় দিয়েছেন। আমি আদালতের এ রায়ে সন্তুুষ্ট।এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি মুহম্মদ হুমায়ুন কবির সোহেল জানান, বিচার বিভাগের কাছে মানুষ বিচার চাইলে সঠিক বিচার পায়, এ রায়ের মধ্য দিয়ে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। আসামী নানান ভাবে বিচারকার্য দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টায় চালায়। কিন্তু দীর্ঘ ১৩ বছর পরে হলেও সঠিক বিচার পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখন আমরা দ্রুত মামলার রায় কার্যকর বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করছি।এদিকে আসামীপক্ষের আইনজীবি মুহম্মদ যুবের আলম জীবন বলেন, আদালত মৌখিকভাবে রায় ঘোষণা করেছেন। এখনও লিখিত রায় পায়নি। মামলার রায় ঘোষণার সময় একরামুল আহসান কাঞ্চনসহ কোন আসামী উপস্থিত ছিলো না আদালতে। প্রত্যেকেই পলাতক ছিলো।