মতলব উত্তরে প্রকাশ্যে চালককে মারধর করে মিশুক ছিনতাই


editor প্রকাশের সময় : ২৬/০৪/২০২৩, ৮:০৩ অপরাহ্ণ /
মতলব উত্তরে প্রকাশ্যে চালককে মারধর করে মিশুক ছিনতাই

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি।
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে দিবালোকে মো: সিয়াম (২০) নামে এক চালককে মারধর করে একটি ব্যাটারী চালিত মিশুক ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চিহ্নিত কয়েকজন অপরাধীদের বিরুদ্ধে । গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় মতলব উত্তরের নন্দলালপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার মো: সিয়াম মতলব উত্তর থানার উত্তর টরকী এলাকার মো: শাহজালালের ছেলে। সিয়াম তার বাবার মালিকানাধীন মিশুক গাড়িটি চালিয়ে সংসার চালায়।
এ ঘটনায় একই দিন দপুরে ছিনতাইয়ের শিকার মো: সিয়ামের বাবা শাহজালাল বাদী হয়ে নন্দলালপুর এলাকার মৃত ইসমাঈল সরদারের ছেলে মো: সুবল সরদার (৬০) ও মো: সুবল সরদারের ছেলে জাহিদ সরদার (২০) কে এজাহার নামীয়সহ আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মতলব উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মতলব উত্তর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাদাত হোসেন পাটোয়ারী সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও লুন্ঠিত মিশুক গাড়ীটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী শাহজালালের নিজস্ব মালিকানাধীন একটি ব্যাটারী চালিত মিশুক গাড়ী তার ছেলে চালিয়ে জীবন-যাপন করে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় ভাড়া যাত্রী নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় নন্দলালপুর বাজারে গেলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে উক্ত বিবাদীরা তার ছেলেকে গাড়ী থেকে নামিয়ে এলোপাথারী মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তার পকেটে থাকা নগদ পাঁচশত টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে সিয়ামকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করে মিশুক গাড়ীটি তারা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে তাদের বাড়িতে আটক করে রাখে। গাড়িটি ফেরত আনার জন্য আমার ছেলে তাদের বাড়িতে গেলে তারা তাকে প্রকাশ্যে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে সুবল, জাহিদ সহ একটি চিহ্নিত অপরাধী সিন্ডিকেট এলাকায় নানান অপরাধ কর্মকান্ড করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি সাধন করে বেড়ায়। তাদের বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মতলব উত্তর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাদাত হোসেন পাটোয়ারী জানায়, আমি একটু ব্যস্ত আছি। আপনার সাথে পরে কথা বলি।