গাইবান্ধার তরুনী স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে মোঃ রেজাউল করিমের বাড়িতে স্থান না পেয়ে তিনদিন ধরে ইউপি সদস্যের বাড়িতে!
স্টাফ রিপোর্টারঃ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গাইবান্ধার তরুনী স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে মোঃ রেজাউল করিমের বাড়িতে স্থান না পেয়ে তিনদিন ধরে ইউপি সদস্যের বাড়িতে অনশন করছেন।
গত বুধবার (২২ মার্চ) বিকেল থেকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের বড় বাউল গ্রামের মোঃ রেজাউল করিমের বাড়িতে আসলে প্রেমিক মোঃ রেজাউল করিম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
ওই তরুণী সেখানে অনশন শুরু করলে প্রেমিক মোঃ রেজাউল করিমের বাড়ির লোকজন তাকে টানাহেচরা করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে সে ঐ এলাকার ইউপি সদস্য সুমন শাহ এর বাড়ীতে অবস্থান করছে সরেজমিনে তাই দেখা যায়। স্ত্রীর মর্যাদা সন্তানের পিতার অধিকার না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন ওই তরুণী।
স্থানীয়রা জানায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তরুণী ইউপি সদস্য সুমন শাহ এর বাড়ীতে অবস্থান করছেন।
মোঃ রেজাউল করিম আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের বড় বাউল গ্রামের মোঃ সামছুল আলমের একমাত্র পুত্র।
অনশনকারী ওই তরুণী বলেন, "আমার বাড়ী গাইবান্ধা জেলায়। গত ৫ বছর আগে রেজাউল দিনাজপুর থেকে গাইবান্ধায় একটি বিয়ের দাওয়াত খেতে গেলে সেখানে আমাদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে আমার সঙ্গে মোঃ রেজাউলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রেজাউল আমাকে দিনাজপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান এবং শারীরিক সম্পর্ক করেন।
পরে ২০২০ সালের ১০ আগস্ট রেজাউল এর সঙ্গে ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহরে আমার বিয়ে সম্পন্ন হয়"।
তিনি আরও বলেন, "বিয়ের পরেও রেজাউল আমার সঙ্গে অসংখ্যবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। এক পর্যায়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি মুঠো ফোনে রেজাউলকে জানানোর পর থেকে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন"। তাই কোন উপায় না দেখে স্ত্রীর স্বীকৃতি ও সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে রেজাউলের বাড়িতে আসলে সে পালয়ে যায়; এবং রেজাউলের পরিবার আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে আমি ইউপি সদস্য সুমন শাহ এর বাড়ীতে আছি"।
বিষয়টি এখন এলাকার অনেকেই জানে। আমার আর কোথাও ফিরে যাওয়ার পথ নেই। রেজাউল আমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোনো পথ নেই বলে জানান ওই তরুণী।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বজলুর রশিদ বলেন, "লিখিতভাবে কোন অভিযোগ পাইনি, মৌখিক ভাবে জানার পর মেয়ের বাড়ী গাইবান্ধা সদরের ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়ের বাবা-মা কে আসার অনুরোধ করেছি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ছেলে-মেয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরিবেশ তৈরী করার চেস্টা চলছে। সমাধান না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে"।
সম্পাদক, মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খাঁ। প্রকাশক- প্রদীপ কুমার রায় উপদেষ্টা সম্পাদক, এডভোকেট আমান ফেরদৌস, সিএমএম কোট ঢাকা।
নির্বাহী সম্পাদক, মো: বাবুল মিয়া। বার্তা সম্পাদক মো: গোলাম রাব্বানী পলাশ।
প্রধান কার্যালয় -ডি আই টি (৪র্থ) এক্সটেনশন রোড ফকিরাপুল মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ করুন -০১৮১১১৬৯২১৪ মেইল নং-sokalpratidin@gmail.com
কারিগরি সহযোগিতায় ফ্লাস টেকনোলজি