ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭১ ও ২৪’র বিজয়ের চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • প্রতিবেদক এর নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে গণতন্ত্র ও জনগনের হারানো ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন প্রয়োজনীয় সংষ্কার বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়নি। হয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার না করা এবং আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না করে দ্রæত নির্বাচন আয়োজন করলে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের চেতনা ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল চেতনা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কমে যাবে।’ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এক বাণীতে বলেছেন, ‘গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্য মহান স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হলেও প্রতিহিংসা ও বিভাজনের রাজনীতির কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। মূলত দল, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।’ নেতৃদ্বয় ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে সবাইকে প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ ও বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান’ জানিয়ে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আসা অন্তর্র্বতী সরকার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে বলে দেশবাসী প্রত্যাশা করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তখনকার সরকারি দল ও সরকারি দলঘেঁষা জোট ছাড়া দেশের সকল রাজনৈতিক দল পূর্ণ সমর্থন ও একাত্মতা ঘোষণা করেছিল। শুধু ঘোষণাই করেনি, আন্দোলনেও নেমেছিল একটি অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য।’ তারা আরো বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যের সঙ্গে গণমানুষের আকাংখার মূল্যায়ন করতে না পারলে আবারো ৭১’র বিজয়ের মত জুলাই আগষ্টের চেতনা ছিনতাই হয়ে যেতে পারে। তার ১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪’র ৫ আগষ্টের বিজয়ের চেতনার ভিত্তিতে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ‘দেশ পরিচালনাসহ রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে ‘নতুন বাংলাদেশের’ অর্থাৎ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের প্লাটফর্ম নিশ্চিত করতে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে লাখো শহীদ আর দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হেফাজত ও দেশ-জাতির সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।’

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

ব্লাড নিয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন

৭১ ও ২৪’র বিজয়ের চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে গণতন্ত্র ও জনগনের হারানো ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন প্রয়োজনীয় সংষ্কার বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়নি। হয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার না করা এবং আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না করে দ্রæত নির্বাচন আয়োজন করলে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের চেতনা ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল চেতনা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কমে যাবে।’ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এক বাণীতে বলেছেন, ‘গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্য মহান স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হলেও প্রতিহিংসা ও বিভাজনের রাজনীতির কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। মূলত দল, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।’ নেতৃদ্বয় ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে সবাইকে প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ ও বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান’ জানিয়ে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আসা অন্তর্র্বতী সরকার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে বলে দেশবাসী প্রত্যাশা করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তখনকার সরকারি দল ও সরকারি দলঘেঁষা জোট ছাড়া দেশের সকল রাজনৈতিক দল পূর্ণ সমর্থন ও একাত্মতা ঘোষণা করেছিল। শুধু ঘোষণাই করেনি, আন্দোলনেও নেমেছিল একটি অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য।’ তারা আরো বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যের সঙ্গে গণমানুষের আকাংখার মূল্যায়ন করতে না পারলে আবারো ৭১’র বিজয়ের মত জুলাই আগষ্টের চেতনা ছিনতাই হয়ে যেতে পারে। তার ১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪’র ৫ আগষ্টের বিজয়ের চেতনার ভিত্তিতে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ‘দেশ পরিচালনাসহ রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে ‘নতুন বাংলাদেশের’ অর্থাৎ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের প্লাটফর্ম নিশ্চিত করতে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে লাখো শহীদ আর দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হেফাজত ও দেশ-জাতির সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।’