ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৫ বছরের পুরনো বাড়ি জোরপূর্বক দখল করে নিল ভাই-ভাতিজারা ‎

  • প্রতিবেদক এর নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২২১ বার পড়া হয়েছে

‎মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: ‎ ‎অনেক আশা করে নিজের মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মেয়েকে এক টুকরো জমি ক্রয় করে দিয়েছিলেন বাবা।কিন্তু নিজের বাবার সেই সব আশা,সব স্বপ্ন নিমিষেই শেষ করে দিয়েছে নিজের আপন ভাই ভাতিজারা।নিয়েছে ঘরবাড়ি দখল করে।তারপর আবার ৪৫ বছর আগের ঘরবাড়ি।এখন স্বামী-সন্তান-নাতি নিয়ে থাকার মতো কোন জায়গা নেই,রাত কাটে শুধুমাত্র কোনরকম ঘরের এক কোনে।তাও আবার ঘুমাতে হয় ভাই-ভাতিজাদের ভয় নিয়ে।কারন এই জমি নিয়ে অনেক মামলা হয়েছে,অনেকবার ভাই-ভাতিজারা হামলাও করেছে।দীর্ঘদিন তাদের ঘরবাড়ি ছাড়াও করে রেখেছে শুধুমাত্র তাদের প্রভাবের কারনে। ‎ ‎এইরকম ন্যাক্যারজনক ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের উত্তর পেকুয়া এলাকায়।ভুক্তভোগী সখিনা বেগম (৬৮) ওই এলাকার মৃত গাজিউর রহমান মেম্বারের ছোট মেয়ে।৪৫ বছর আগে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তার সুখের কথা চিন্তা করে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে দেন এবং বাড়িও করে দেন।এতদিন সুখেই দিন কাটাচ্ছিল সখিনা বেগম ও তার স্বামী-সন্তানদের নিয়ে।কিন্তু গত ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর হঠাৎ করে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে ও স্থানীয় কথিত বিএনপি নেতাদের সহায়তায় রাতের আধারে ঘরবাড়ি দখল করে বাড়ির মাঝখান দিয়ে ইটের দেয়াল নির্মান করেছে সখিনা বেগমের ভাই-ভাতিজারা। ‎ ‎অভিযুক্ত দখলবাজরা হলেন ওই এলাকার মৃত গাজিউর রহমান মেম্বারের ছেলে আহাদুল্লাহ (৭৫),তার নাতি রকিবুল ইসলাম ওরফে জাহাঙ্গীর আলম (৩৮),জহিরুল ইসলাম (৪০)।আরো সঙ্গে ছিল জহিরুল ইসলামের ছেলে রেদুয়ান ইসলাম (১৮),ওই এলাকার মাসুমের ছেলে মাহিম সহ স্থানীয় কথিত বিএনপি নেতারা।জানা যায়,অভিযুক্ত ব্যাক্তিরাও এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে নানান অপকর্মের সাথেও জড়িত। ‎ ‎জানা যায়,গত এক মাস আগেও সখিনার বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় গাছপালা কাটে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ‎ ‎অভিযুক্ত আহাদুল্লাহ ও তার পরিবারের ভয়ে সখিনা বেগম সহ তার পরিবার খুবই আতংকের মধ্যে দিনরাত কাটাচ্ছেন।জীবনের মায়া কার না আছে।তাই সখিনা বেগম সহ তার পরিবার প্রশাসনের নিকট একটু নিরাপত্তা চান। ‎ ‎এই জমি নিয়ে কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে।সখিনা বেগম একাধিক মামলার স্বপক্ষে ডিগ্রিও পেয়েছেন।কিন্তু ক্ষমতা ও টাকার কাছে বারবার হেরে যাচ্ছেন সখিনা বেগম।এখনো কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। ‎ ‎এ বিষয়ে সখিনা বেগমের ছেলে সেলিম মিয়া নিজেদের নিরাপত্তা ও বিচার চেয়ে মির্জাপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর এবং মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।সখিনা বেগমের ছেলে সেলিম মিয়া বলেন,আমি শুধু আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই এবং প্রশাসনের নিকট এর ন্যায় বিচার চাই।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

ব্লাড নিয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন

৪৫ বছরের পুরনো বাড়ি জোরপূর্বক দখল করে নিল ভাই-ভাতিজারা ‎

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

‎মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: ‎ ‎অনেক আশা করে নিজের মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মেয়েকে এক টুকরো জমি ক্রয় করে দিয়েছিলেন বাবা।কিন্তু নিজের বাবার সেই সব আশা,সব স্বপ্ন নিমিষেই শেষ করে দিয়েছে নিজের আপন ভাই ভাতিজারা।নিয়েছে ঘরবাড়ি দখল করে।তারপর আবার ৪৫ বছর আগের ঘরবাড়ি।এখন স্বামী-সন্তান-নাতি নিয়ে থাকার মতো কোন জায়গা নেই,রাত কাটে শুধুমাত্র কোনরকম ঘরের এক কোনে।তাও আবার ঘুমাতে হয় ভাই-ভাতিজাদের ভয় নিয়ে।কারন এই জমি নিয়ে অনেক মামলা হয়েছে,অনেকবার ভাই-ভাতিজারা হামলাও করেছে।দীর্ঘদিন তাদের ঘরবাড়ি ছাড়াও করে রেখেছে শুধুমাত্র তাদের প্রভাবের কারনে। ‎ ‎এইরকম ন্যাক্যারজনক ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের উত্তর পেকুয়া এলাকায়।ভুক্তভোগী সখিনা বেগম (৬৮) ওই এলাকার মৃত গাজিউর রহমান মেম্বারের ছোট মেয়ে।৪৫ বছর আগে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তার সুখের কথা চিন্তা করে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে দেন এবং বাড়িও করে দেন।এতদিন সুখেই দিন কাটাচ্ছিল সখিনা বেগম ও তার স্বামী-সন্তানদের নিয়ে।কিন্তু গত ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর হঠাৎ করে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে ও স্থানীয় কথিত বিএনপি নেতাদের সহায়তায় রাতের আধারে ঘরবাড়ি দখল করে বাড়ির মাঝখান দিয়ে ইটের দেয়াল নির্মান করেছে সখিনা বেগমের ভাই-ভাতিজারা। ‎ ‎অভিযুক্ত দখলবাজরা হলেন ওই এলাকার মৃত গাজিউর রহমান মেম্বারের ছেলে আহাদুল্লাহ (৭৫),তার নাতি রকিবুল ইসলাম ওরফে জাহাঙ্গীর আলম (৩৮),জহিরুল ইসলাম (৪০)।আরো সঙ্গে ছিল জহিরুল ইসলামের ছেলে রেদুয়ান ইসলাম (১৮),ওই এলাকার মাসুমের ছেলে মাহিম সহ স্থানীয় কথিত বিএনপি নেতারা।জানা যায়,অভিযুক্ত ব্যাক্তিরাও এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে নানান অপকর্মের সাথেও জড়িত। ‎ ‎জানা যায়,গত এক মাস আগেও সখিনার বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় গাছপালা কাটে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ‎ ‎অভিযুক্ত আহাদুল্লাহ ও তার পরিবারের ভয়ে সখিনা বেগম সহ তার পরিবার খুবই আতংকের মধ্যে দিনরাত কাটাচ্ছেন।জীবনের মায়া কার না আছে।তাই সখিনা বেগম সহ তার পরিবার প্রশাসনের নিকট একটু নিরাপত্তা চান। ‎ ‎এই জমি নিয়ে কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে।সখিনা বেগম একাধিক মামলার স্বপক্ষে ডিগ্রিও পেয়েছেন।কিন্তু ক্ষমতা ও টাকার কাছে বারবার হেরে যাচ্ছেন সখিনা বেগম।এখনো কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। ‎ ‎এ বিষয়ে সখিনা বেগমের ছেলে সেলিম মিয়া নিজেদের নিরাপত্তা ও বিচার চেয়ে মির্জাপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর এবং মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।সখিনা বেগমের ছেলে সেলিম মিয়া বলেন,আমি শুধু আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই এবং প্রশাসনের নিকট এর ন্যায় বিচার চাই।