ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বৈরাচার সরকার আমলের দূর্ণীতিবাজ পিআইও সাখাওয়াত হোসেন ঘুরে ফিরে ময়মনসিংহে এখনো বহাল তবিয়তে !

  • প্রতিবেদক এর নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

তালহা চৌধুরী রুদ্র : ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি।। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় বর্তমানে কর্মরত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন মুক্তাগাছায় বদলি হওয়ার আগে একই জেলার ফুলবাড়িয়ায় ছিলেন এর আগে  নেত্রকোণা জেলার বারহাট্রা উপজেলায় ছিলেন এখন আবার এসেছেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। পিআইও সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশের সরকারি প্রকল্পের দেখভাল চূড়ান্তভাবে তদারকির কথা কিন্তু তিনি যখন ফুলবাড়িয়াতে পোস্টিং নেন তখন যেনো তিনি ফুলবাড়িয়া ছাড়তেই চাই ছিলেন না। কারণ তখন ছিলো পতিত স্বৈরাচার আওয়ামিলীগের ক্যারেশ ম্যাটিক দূর্ণীতির দুঃশাসন। কিন্তু সে সময় ফুলবাড়িয়া উপজেলার পিআইও সাখাওয়াত হোসেন স্হানীয় জন সাধারণকে বলে বেড়াতেন আওয়ামিলীগ সরকারের শাসনামলে দেশের জনগন ভালো আছেন। আমরাও ভালো আছি। পিআইও সাখাওয়াত হোসেন দম্ভ ভরে  বলে বেড়াতেন তাদের নাকি টাকার কোন অভাব নেই। পিআইও সাখাওয়াত হোসেন তার কাছের লোকদের বলতেন তারা নাকি সর্বোচ্চ অফিসার পদেই আছেন। জানা গেছে, স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে প্রজেক্ট আসছে আর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন কোন  কাজ না করেই চেয়ার-টেবিলে বসে একের পর এক ভূঁয়া মিথ্যা প্রজেক্ট বানাতেন আর নিরীহ মানুষদের ব্রীজ. কালভার্ট. মাটি কাটার প্রকল্পের ভাওতা বাজির স্বপ্ন দেখিয়ে সই-দস্তগত ইত্যাদির কাজ সেড়ে তিনি মন্রণালয়কে চিঠি পাঠাতেন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাঝ পথে তিনি ভিলেন হয়ে সমস্ত সরকারি টাকা লুটে নিতেন। অবিশ্বাসের বিষয় সাধারন মানুষ সবই বুঝতেন কিন্তু আওয়ামিলীগের গোন্ডা পান্ডাদের ভয়ে কিছুই বলতেন না। শুধু নির্বাক তাকিয়ে থাকতেন। ফুলবাড়িয়ার পিআইও সাখাওয়াত হোসেন কিন্তু এরপরও থেমে থাকেননি। তিনি নির্লজ্জের মতো গরীবের টাকাও আত্নসাৎ করেছেন। ভূঁড়ি ভূ্ঁড়ি এ ধরণের প্রমাণ ফুলবাড়িয়াবাসীর কাছে আছে বলে জানা গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়া উপজেলায় যতো ধরণের টিআর,কাবিখা. কাবিটা. দরিদ্রদের নগদ ভাতা সহ কর্মসৃজন প্রকল্প ইত্যাদি বাস্তবায়নের নামে সবকিছুই লাপাত্তা করে নিজেই আত্নসাৎ করে বসে থাকতেন। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ফুলবাড়িয়া উপজেলা  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন মূলত কোন কাজই করতেননা। জানা গেছে, সাখাওয়াত হোসেনের কাজ ছিলো সারাদিন কিভাবে টাকা আত্নসাৎ করা যায় এই ধান্ধাবাজিতে আর বিকেল হলেই আওয়ামীলীগের উন্নয়ন মিছিলে শরীক হতেন। ফুলবাড়িয়া বাসী এখনও হাসি-ঠাট্রা করে বলে থাকেন সরকারি কর্মকর্তা সেও আওয়ামীলীগের মিছিল করে। অভিযোগে আরও জানা গেছে, পিআইও সাখাওয়াত হোসেন শুধু দরিদ্রদের  ভাতার টাকাই মেরে দেয়নি তিনি এমপি বরাদ্দ সহ যতো বরাদ্দের টাকা আসতো সবই খেয়ে ফেলতেন। পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকরটির মতো পিআইও সাখাওয়াত হোসেন হোসেন নাকি এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। ক্ষুব্ধ হয়ে স্হানীয় বাসী বলেন, চোরা সাখাওয়াত হোসেনের শাস্তি কি ফুলবাড়িয়া থেকে মুক্তাগাছায় বদলি হওয়া! ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দূর্ণীতি দমন কমিশন দূদকের কর্মকর্তা ময়মনসিংহের গোয়েন্দা সংস্হা সাখাওয়াত হোসেনের দূর্ণীতি আর অপকর্মের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্হা নিবেন এটা যেনো প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

ব্লাড নিয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন

স্বৈরাচার সরকার আমলের দূর্ণীতিবাজ পিআইও সাখাওয়াত হোসেন ঘুরে ফিরে ময়মনসিংহে এখনো বহাল তবিয়তে !

প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

তালহা চৌধুরী রুদ্র : ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি।। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় বর্তমানে কর্মরত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন মুক্তাগাছায় বদলি হওয়ার আগে একই জেলার ফুলবাড়িয়ায় ছিলেন এর আগে  নেত্রকোণা জেলার বারহাট্রা উপজেলায় ছিলেন এখন আবার এসেছেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। পিআইও সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশের সরকারি প্রকল্পের দেখভাল চূড়ান্তভাবে তদারকির কথা কিন্তু তিনি যখন ফুলবাড়িয়াতে পোস্টিং নেন তখন যেনো তিনি ফুলবাড়িয়া ছাড়তেই চাই ছিলেন না। কারণ তখন ছিলো পতিত স্বৈরাচার আওয়ামিলীগের ক্যারেশ ম্যাটিক দূর্ণীতির দুঃশাসন। কিন্তু সে সময় ফুলবাড়িয়া উপজেলার পিআইও সাখাওয়াত হোসেন স্হানীয় জন সাধারণকে বলে বেড়াতেন আওয়ামিলীগ সরকারের শাসনামলে দেশের জনগন ভালো আছেন। আমরাও ভালো আছি। পিআইও সাখাওয়াত হোসেন দম্ভ ভরে  বলে বেড়াতেন তাদের নাকি টাকার কোন অভাব নেই। পিআইও সাখাওয়াত হোসেন তার কাছের লোকদের বলতেন তারা নাকি সর্বোচ্চ অফিসার পদেই আছেন। জানা গেছে, স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে প্রজেক্ট আসছে আর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন কোন  কাজ না করেই চেয়ার-টেবিলে বসে একের পর এক ভূঁয়া মিথ্যা প্রজেক্ট বানাতেন আর নিরীহ মানুষদের ব্রীজ. কালভার্ট. মাটি কাটার প্রকল্পের ভাওতা বাজির স্বপ্ন দেখিয়ে সই-দস্তগত ইত্যাদির কাজ সেড়ে তিনি মন্রণালয়কে চিঠি পাঠাতেন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাঝ পথে তিনি ভিলেন হয়ে সমস্ত সরকারি টাকা লুটে নিতেন। অবিশ্বাসের বিষয় সাধারন মানুষ সবই বুঝতেন কিন্তু আওয়ামিলীগের গোন্ডা পান্ডাদের ভয়ে কিছুই বলতেন না। শুধু নির্বাক তাকিয়ে থাকতেন। ফুলবাড়িয়ার পিআইও সাখাওয়াত হোসেন কিন্তু এরপরও থেমে থাকেননি। তিনি নির্লজ্জের মতো গরীবের টাকাও আত্নসাৎ করেছেন। ভূঁড়ি ভূ্ঁড়ি এ ধরণের প্রমাণ ফুলবাড়িয়াবাসীর কাছে আছে বলে জানা গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়া উপজেলায় যতো ধরণের টিআর,কাবিখা. কাবিটা. দরিদ্রদের নগদ ভাতা সহ কর্মসৃজন প্রকল্প ইত্যাদি বাস্তবায়নের নামে সবকিছুই লাপাত্তা করে নিজেই আত্নসাৎ করে বসে থাকতেন। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ফুলবাড়িয়া উপজেলা  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন মূলত কোন কাজই করতেননা। জানা গেছে, সাখাওয়াত হোসেনের কাজ ছিলো সারাদিন কিভাবে টাকা আত্নসাৎ করা যায় এই ধান্ধাবাজিতে আর বিকেল হলেই আওয়ামীলীগের উন্নয়ন মিছিলে শরীক হতেন। ফুলবাড়িয়া বাসী এখনও হাসি-ঠাট্রা করে বলে থাকেন সরকারি কর্মকর্তা সেও আওয়ামীলীগের মিছিল করে। অভিযোগে আরও জানা গেছে, পিআইও সাখাওয়াত হোসেন শুধু দরিদ্রদের  ভাতার টাকাই মেরে দেয়নি তিনি এমপি বরাদ্দ সহ যতো বরাদ্দের টাকা আসতো সবই খেয়ে ফেলতেন। পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকরটির মতো পিআইও সাখাওয়াত হোসেন হোসেন নাকি এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। ক্ষুব্ধ হয়ে স্হানীয় বাসী বলেন, চোরা সাখাওয়াত হোসেনের শাস্তি কি ফুলবাড়িয়া থেকে মুক্তাগাছায় বদলি হওয়া! ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দূর্ণীতি দমন কমিশন দূদকের কর্মকর্তা ময়মনসিংহের গোয়েন্দা সংস্হা সাখাওয়াত হোসেনের দূর্ণীতি আর অপকর্মের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্হা নিবেন এটা যেনো প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ।