ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জের মধুপুরে মেশিন লাগিয়ে পুকুর শুকানোর কাজে বাধাঁ দেয়ায় দূর্বৃত্তদের দাড়াঁলো অস্ত্রের আঘাতে মা ও ছেলে গুরুতর আহত

 সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে এজমালী পুকুরে মেশিন লাগিয়ে মাছ ধরার কাজে বাধাঁ দেয়ায় মা ও ছেলেকে কুপিয়ে আহত করেছে ভূমিখেকো তার স্বজনরা। শুক্রবার বিকেলে এই এজমালী পুকুরে রীনা বেগমের চাচা জালাল উদ্দিন,চাচাতো ভাই আপ্তাব উদ্দিন জুনেদ,চাচাতো ভাই আজির উদ্দিন বাবুল, চাচী জানু বিবি,চাচাতো বোন মমতা বেগম,রুমী বেগম ও গ্রামের প্রতিবেশী আনোয়ার মিয়া মিলে মেশিন লাগিয়ে পুকুরের পানি শুকিয়ে মৎস্য আহরণের চেষ্টাকালে তাতে বাধাঁ প্রদান করেন রীনা বেগম ও তার ছেলে তারেক আহমদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নামাংঙ্কিত ব্যক্তিরা দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র দা,রামদা নিয়ে রীনা বেগম ও তার ছেলে তারেক রহমানের মাথা,পায়ে ও আঙ্গুলসহ বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় ও পুৈিশ সূত্রে জানা যায়,মধুপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের কোন ছেলে সন্তান নাথাকায় তার মেয়ে মেয়ে রীনা বেগম(৪৭) বিয়ের পরপরই বিগত ২৫ বছর ধরে তার স্বামী সেলিম মিয়া ও একমাত্র পূত্র সন্তান তারেক আহমদকে নিয়ে পিতার বসতভিটায় বসবাস করে আসছিলেন। পিতার বসতভিটার পাশাপাশি একটি এজমালী পুকুর ও ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু বাদ সাজে রীনা বেগমের চাচা,চাচাতো ভাইসহ আরো কয়েকজন। আহতের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন মা ও ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এতে রীনা বেগম ও তার ছেলে তারেক রহমানের মাথায় একাধিক সেলাই লাগানো হয়। ৪১২ নং মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের ৯নং বেডে মা রীনা বেগম আহত অবস্থায় ও পূরুষ কেবিনে ছেলে গুরুতর তারেক আহমদ ভর্তি রয়েছেন। তবে রীনা বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দিলেও আর্থিক সংকটের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে না গিয়ে আপাতত সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় শনিবার(০৮/০৩/২০২৫ইং তারিখে) দুপুরে গুরুতর আহত রীনা বেগমের স্বামী সেলিম মিয়া বাদি হয়ে মূল হামলাকারী জালাল উদ্দিনের ছেলে আপ্তাব উদ্দিন জুনেদকে প্রধান আসামী করে নামাংঙ্কিত ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সুনাসমগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ বছর ধরে মধুপুরে পিতা আলাউদ্দিনের বসতভিটায় তার মেয়ে রীনা বেগম বসবাস করে আসছিলেন। পাশাপাশি এই এজমালী পুকুরে রীনা বেগম তার পিতার অংশ ছাড়াও তার চাচার আরো একটি অংশ খরিদ করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা লাঠির জোরে অসহায় রীনা বেগমকে তার পিতার ভিটাবাড়ি ও পুকুর থেকে উচ্ছেদ করতেই মূলক পুকুরে মেশিন লাগিয়ে জোরপূর্বক শুকিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা চালান। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আবুল কালাম অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জানান বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

ব্লাড নিয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের মধুপুরে মেশিন লাগিয়ে পুকুর শুকানোর কাজে বাধাঁ দেয়ায় দূর্বৃত্তদের দাড়াঁলো অস্ত্রের আঘাতে মা ও ছেলে গুরুতর আহত

প্রকাশের সময় : ০১:৩২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

 সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে এজমালী পুকুরে মেশিন লাগিয়ে মাছ ধরার কাজে বাধাঁ দেয়ায় মা ও ছেলেকে কুপিয়ে আহত করেছে ভূমিখেকো তার স্বজনরা। শুক্রবার বিকেলে এই এজমালী পুকুরে রীনা বেগমের চাচা জালাল উদ্দিন,চাচাতো ভাই আপ্তাব উদ্দিন জুনেদ,চাচাতো ভাই আজির উদ্দিন বাবুল, চাচী জানু বিবি,চাচাতো বোন মমতা বেগম,রুমী বেগম ও গ্রামের প্রতিবেশী আনোয়ার মিয়া মিলে মেশিন লাগিয়ে পুকুরের পানি শুকিয়ে মৎস্য আহরণের চেষ্টাকালে তাতে বাধাঁ প্রদান করেন রীনা বেগম ও তার ছেলে তারেক আহমদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নামাংঙ্কিত ব্যক্তিরা দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র দা,রামদা নিয়ে রীনা বেগম ও তার ছেলে তারেক রহমানের মাথা,পায়ে ও আঙ্গুলসহ বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় ও পুৈিশ সূত্রে জানা যায়,মধুপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের কোন ছেলে সন্তান নাথাকায় তার মেয়ে মেয়ে রীনা বেগম(৪৭) বিয়ের পরপরই বিগত ২৫ বছর ধরে তার স্বামী সেলিম মিয়া ও একমাত্র পূত্র সন্তান তারেক আহমদকে নিয়ে পিতার বসতভিটায় বসবাস করে আসছিলেন। পিতার বসতভিটার পাশাপাশি একটি এজমালী পুকুর ও ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু বাদ সাজে রীনা বেগমের চাচা,চাচাতো ভাইসহ আরো কয়েকজন। আহতের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন মা ও ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এতে রীনা বেগম ও তার ছেলে তারেক রহমানের মাথায় একাধিক সেলাই লাগানো হয়। ৪১২ নং মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের ৯নং বেডে মা রীনা বেগম আহত অবস্থায় ও পূরুষ কেবিনে ছেলে গুরুতর তারেক আহমদ ভর্তি রয়েছেন। তবে রীনা বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দিলেও আর্থিক সংকটের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে না গিয়ে আপাতত সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় শনিবার(০৮/০৩/২০২৫ইং তারিখে) দুপুরে গুরুতর আহত রীনা বেগমের স্বামী সেলিম মিয়া বাদি হয়ে মূল হামলাকারী জালাল উদ্দিনের ছেলে আপ্তাব উদ্দিন জুনেদকে প্রধান আসামী করে নামাংঙ্কিত ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সুনাসমগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ বছর ধরে মধুপুরে পিতা আলাউদ্দিনের বসতভিটায় তার মেয়ে রীনা বেগম বসবাস করে আসছিলেন। পাশাপাশি এই এজমালী পুকুরে রীনা বেগম তার পিতার অংশ ছাড়াও তার চাচার আরো একটি অংশ খরিদ করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা লাঠির জোরে অসহায় রীনা বেগমকে তার পিতার ভিটাবাড়ি ও পুকুর থেকে উচ্ছেদ করতেই মূলক পুকুরে মেশিন লাগিয়ে জোরপূর্বক শুকিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা চালান। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আবুল কালাম অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জানান বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।