ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর আব্দুল্লাহ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকার কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা ভাঙ্গারপুল ডিএনডি লেক পাড় এলাকায় মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বিক্ষোভ মিছিলটি গোদনাইল ধনকুন্ডা ভাঙ্গারপুল ডিএনডি লেক পাড় এলাকা থেকে শুরু হয়ে কদমতলী নাভানা ভূঁইয়া সিটি হয়ে আদমজী-চাষাঢ়া সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় ভাঙ্গারপুল এলাকায় এসে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের বাবা শামীম খান, ফুফু পিংকি বেগম ও বড়বোন সোহানা।
কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের বাবা শামীম খান তার বক্তব্যে বলেন, আমি আমার ছেলে আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার চাই। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরো যে তিনজন আসামী রয়েছে, তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন করছি। আজ আমার কোল খালি হয়েছে, কাল যেন আরেকজনের কোল খালি না হয়। আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের ফুফু বলেন, আমরা চাই ডিএনডি লেক পাড়টি যেন পুরোপুরি নিরাপদ থাকে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যাতে সন্ধ্যার পর রাতে হাটতে পারে। কিশোরগ্যাংয়ের উৎপাতে এই লেক পাড়ের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজী, গাঁজা, ইয়াবা ব্যবসা, সেবন এবং মেয়েদেরকে ইভটিজিং সহ সব এই লেক পাড়ে হয়। লেক পাড়ের লাইটগুলো বন্ধ থাকার কারণে অন্ধকারে আরো বেশি অপরাধ হয়। এক আব্দুল্লাহ গেছে আমরা চাইনা আরো কোন আব্দুল্লাহর মারা যাক। আমরা চাই আব্দুল্লাহ হত্যার একটা সুষ্ঠু বিচার হউক।
তিনি আরো বলেন, এই লেক পাড়ে একটি দোকান আছে, আব্দুল্লাহকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে তার পাশেই চাচার দোকান নামে পরিচিত। ওই চাচার দোকানে চার বছরের শিশু থেকে শুরু করে বুড়ারাও সেখানে যায়, মাদক দ্রব্য কিনে এবং খায়। আমরা চাই না এই দোকানটা এখানে থাকুক।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মে শুক্রবার রাত ১০টায় দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে আব্দুল্লাহ ছুরিকাঘাতে আহত হয়। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই নিহতের বাবা শামীম খান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় মো. হৃদয়, সাব্বির, মো. আতিক ও  মো. জাহিদকে  আটক করেছে পুলিশ।
খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তরে দুর্বার পাঠশালার উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী মিলনমেলা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান

সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর আব্দুল্লাহ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ০৮:২৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকার কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা ভাঙ্গারপুল ডিএনডি লেক পাড় এলাকায় মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বিক্ষোভ মিছিলটি গোদনাইল ধনকুন্ডা ভাঙ্গারপুল ডিএনডি লেক পাড় এলাকা থেকে শুরু হয়ে কদমতলী নাভানা ভূঁইয়া সিটি হয়ে আদমজী-চাষাঢ়া সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় ভাঙ্গারপুল এলাকায় এসে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের বাবা শামীম খান, ফুফু পিংকি বেগম ও বড়বোন সোহানা।
কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের বাবা শামীম খান তার বক্তব্যে বলেন, আমি আমার ছেলে আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার চাই। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরো যে তিনজন আসামী রয়েছে, তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন করছি। আজ আমার কোল খালি হয়েছে, কাল যেন আরেকজনের কোল খালি না হয়। আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
কিশোর আব্দুল্লাহ খান পায়েলের ফুফু বলেন, আমরা চাই ডিএনডি লেক পাড়টি যেন পুরোপুরি নিরাপদ থাকে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যাতে সন্ধ্যার পর রাতে হাটতে পারে। কিশোরগ্যাংয়ের উৎপাতে এই লেক পাড়ের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজী, গাঁজা, ইয়াবা ব্যবসা, সেবন এবং মেয়েদেরকে ইভটিজিং সহ সব এই লেক পাড়ে হয়। লেক পাড়ের লাইটগুলো বন্ধ থাকার কারণে অন্ধকারে আরো বেশি অপরাধ হয়। এক আব্দুল্লাহ গেছে আমরা চাইনা আরো কোন আব্দুল্লাহর মারা যাক। আমরা চাই আব্দুল্লাহ হত্যার একটা সুষ্ঠু বিচার হউক।
তিনি আরো বলেন, এই লেক পাড়ে একটি দোকান আছে, আব্দুল্লাহকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে তার পাশেই চাচার দোকান নামে পরিচিত। ওই চাচার দোকানে চার বছরের শিশু থেকে শুরু করে বুড়ারাও সেখানে যায়, মাদক দ্রব্য কিনে এবং খায়। আমরা চাই না এই দোকানটা এখানে থাকুক।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মে শুক্রবার রাত ১০টায় দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে আব্দুল্লাহ ছুরিকাঘাতে আহত হয়। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই নিহতের বাবা শামীম খান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় মো. হৃদয়, সাব্বির, মো. আতিক ও  মো. জাহিদকে  আটক করেছে পুলিশ।