ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রমিকরাই দেশের উন্নয়নের প্রাণশক্তি ও অর্থনৈতিক ভিত:  বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। শ্রমিকরাই এদেশের উন্নয়নের প্রাণশক্তি, শ্রমিকদের ঘামে গড়ে ওঠে অর্থনৈতিক ভিত। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বিড়ি শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি ও সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিড়ি শিল্পের উপর থেকে সকল প্রকার ট্যাক্স প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ, সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি না করে নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করা, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং সকল বিড়ি ব্যবসায়ীকে ট্যাক্সের আওতায় আনার দাবি শ্রমিকরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিড়ি শিল্প শ্রমিক নির্ভর একটি শিল্প। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিড়িতে কোনো শুল্ক ছিল না এবং বিড়ি একটি কুটির শিল্প হিসেবে পরিচিত ছিল। এই শিল্পকে ধ্বংস করতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিদেশি সিগারেট কোম্পানীগুলোকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। ফলে রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। সুতরাং বিড়ি শিল্প রক্ষার্থে আগামী বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর থেকে সকল প্রকার ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে এবং নি¤œতম মজুরী বোর্ডের মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে।

শ্রমিকরা আরো বলেন, বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি হলে নকল বিড়িতে লাভ বেশি হয় বিধায় খুচরা বিক্রেতাগণ নকল বিড়ি বিক্রিতে উৎসাহিত হয়। ফলে নকল বিড়ি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এতে সরকার শত শত কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়। তাই বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি না করে নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এছাড়া নকল বিড়ি বন্ধে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। একইসাথে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে নকল বিড়ি বন্ধের পাশাপাশি সকল বিড়ি ব্যবসায়ীকে ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহকারী সম্পাদক আবুল হাসনাত লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমূখ।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

ব্লাড নিয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন

শ্রমিকরাই দেশের উন্নয়নের প্রাণশক্তি ও অর্থনৈতিক ভিত:  বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। শ্রমিকরাই এদেশের উন্নয়নের প্রাণশক্তি, শ্রমিকদের ঘামে গড়ে ওঠে অর্থনৈতিক ভিত। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বিড়ি শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি ও সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিড়ি শিল্পের উপর থেকে সকল প্রকার ট্যাক্স প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ, সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি না করে নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করা, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং সকল বিড়ি ব্যবসায়ীকে ট্যাক্সের আওতায় আনার দাবি শ্রমিকরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিড়ি শিল্প শ্রমিক নির্ভর একটি শিল্প। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিড়িতে কোনো শুল্ক ছিল না এবং বিড়ি একটি কুটির শিল্প হিসেবে পরিচিত ছিল। এই শিল্পকে ধ্বংস করতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিদেশি সিগারেট কোম্পানীগুলোকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। ফলে রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। সুতরাং বিড়ি শিল্প রক্ষার্থে আগামী বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর থেকে সকল প্রকার ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে এবং নি¤œতম মজুরী বোর্ডের মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে।

শ্রমিকরা আরো বলেন, বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি হলে নকল বিড়িতে লাভ বেশি হয় বিধায় খুচরা বিক্রেতাগণ নকল বিড়ি বিক্রিতে উৎসাহিত হয়। ফলে নকল বিড়ি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এতে সরকার শত শত কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়। তাই বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি না করে নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এছাড়া নকল বিড়ি বন্ধে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। একইসাথে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে নকল বিড়ি বন্ধের পাশাপাশি সকল বিড়ি ব্যবসায়ীকে ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহকারী সম্পাদক আবুল হাসনাত লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমূখ।