ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রূপগঞ্জে শ্রাবণধারা নামের অবৈধ শিশুখাদ্য কারখানায় প্রশাসনের অভিযান; কারখানা সিলগালা, অবৈধ পন্য ধ্বংস

  • প্রতিবেদক এর নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ নওয়াব ভূইয়া রূপগঞ্জ ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের দাউদপুরের হাটাবোতে অবৈধ শিশু খাদ্যপন্য উৎপাদন, বেআইনিভাবে কারখানা পরিচালনাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার ভূমি ( পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেল) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট উবায়দুর রহমান সাহেল। এ সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধভাবে উৎপাদিত শিশুখাদ্য পন্য উদ্ধার করে তা ধ্বংসসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারখানা সিলগালা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট। তবে অভিযানের খবরে ম্যানেজার তানভীর, পরিচালক মোশাররফ পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করেনি ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক (ঢাকা জোন) কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন, উপ পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ মিয়া,দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, দাউদপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিএসটিআই আঞ্চলিক কর্মকর্তা ( ঢাকা জোন) সাফায়েত হোসেন বলেন, কারখানার সবগুলো পন্য অবৈধ ও নিন্মামানের। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। শিশুদের জন্যে মৃত্যু ঝুঁকি আছে। তাই এটি বেআইনি। যার বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নাই। দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার পূর্ববর্তি চেয়ারম্যান ট্রেডলাইসেন্স দিয়েছেন, কারখানা আজ দেখলাম অবৈধ খাদ্যপন্য উৎপাদন হচ্ছে। তাই এমন কারখানা বন্ধে প্রশাসনের অভিযানকে স্বাগত জানাচ্ছি। নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি (পূর্বাচল সার্কেল) রূপগঞ্জ উবায়দুর রহমান সাহেল অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, দাউদপুরের হাটাবো এলাকায় অবৈধভাবে কারখানা পরিচালনা ও মরণঘাতী শিশু খাদ্য উৎপাদনের গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পন্য উদ্ধার ও ধ্বংস করেছি। পাশাপাশি মালিক ও কর্তৃপক্ষের লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় কারনে এবং উপযুক্ত কাগজ পত্রাদি না দেখানোর কারনে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এমন অন্য কোন প্রতিষ্ঠানেও অনিয়ম পেলে অভিযান অব্যাহত রাখবো।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

ব্লাড নিয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন

রূপগঞ্জে শ্রাবণধারা নামের অবৈধ শিশুখাদ্য কারখানায় প্রশাসনের অভিযান; কারখানা সিলগালা, অবৈধ পন্য ধ্বংস

প্রকাশের সময় : ০৭:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মোঃ নওয়াব ভূইয়া রূপগঞ্জ ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের দাউদপুরের হাটাবোতে অবৈধ শিশু খাদ্যপন্য উৎপাদন, বেআইনিভাবে কারখানা পরিচালনাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার ভূমি ( পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেল) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট উবায়দুর রহমান সাহেল। এ সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধভাবে উৎপাদিত শিশুখাদ্য পন্য উদ্ধার করে তা ধ্বংসসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারখানা সিলগালা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট। তবে অভিযানের খবরে ম্যানেজার তানভীর, পরিচালক মোশাররফ পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করেনি ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক (ঢাকা জোন) কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন, উপ পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ মিয়া,দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, দাউদপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিএসটিআই আঞ্চলিক কর্মকর্তা ( ঢাকা জোন) সাফায়েত হোসেন বলেন, কারখানার সবগুলো পন্য অবৈধ ও নিন্মামানের। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। শিশুদের জন্যে মৃত্যু ঝুঁকি আছে। তাই এটি বেআইনি। যার বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নাই। দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার পূর্ববর্তি চেয়ারম্যান ট্রেডলাইসেন্স দিয়েছেন, কারখানা আজ দেখলাম অবৈধ খাদ্যপন্য উৎপাদন হচ্ছে। তাই এমন কারখানা বন্ধে প্রশাসনের অভিযানকে স্বাগত জানাচ্ছি। নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি (পূর্বাচল সার্কেল) রূপগঞ্জ উবায়দুর রহমান সাহেল অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, দাউদপুরের হাটাবো এলাকায় অবৈধভাবে কারখানা পরিচালনা ও মরণঘাতী শিশু খাদ্য উৎপাদনের গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পন্য উদ্ধার ও ধ্বংস করেছি। পাশাপাশি মালিক ও কর্তৃপক্ষের লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় কারনে এবং উপযুক্ত কাগজ পত্রাদি না দেখানোর কারনে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এমন অন্য কোন প্রতিষ্ঠানেও অনিয়ম পেলে অভিযান অব্যাহত রাখবো।