ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে যুবদলের নেতা এখন আ’লীগের নাষকতা মামলার আসামী

  • প্রতিবেদক এর নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

লেখাপড়া করা সময়ে ফুলপুরের শামছুল আলম ছাত্রদল করতেন। এর পরে যুবদল। এর পরে রাজনীতি ছেড়ে দেন। ময়মনসিংহে এসে বসবাস করা সময়ে রহস্যজনক কারণে ১১ ফেব্রুয়ারী কোতোয়ার থানা পুলিশের খাতায় হয়ে গেলেন আওয়ামীগ সমর্থক! পুলিশের সাথেও তার বিরোধ থাকার কথা নয়? তাহলে কোন অদৃশ্য মন্ত্রবলে, কোন স্বার্থে বা কার স্বার্থে শামছুল আলম আওয়ামীলীগে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মামলায় আসামী হলেন? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সাধারন মানুষের মাঝে।
ময়মনসিংহ শহরের রাজবাড়ির পিছনে বসবাসকারী শামছুল আলম রাজনীতি ছেড়ে দিলেও পাশেই জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের নেতাকর্মীদের সাথে ছিলো উঠাবসা। ছেলেমেয়েদের লোখাপড়ার জন্য তিনি রাজনীতি ছাড়েন বলে পরিবার সুত্র জানায়। এক ছেলে দেশের বাইরে লেখাপড়া করেন। মেয়েও মেধাবী ছাত্রী। পরিবারে উপার্জনক্ষম শামছুল আলম। তাকে পুলিশ আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে মামলায় আসামী বানিয়ে কোর্টে পাঠিয়েছে! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু হয় এ জেলা শহরে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী হাত-পায়ে মোজা পড়ে শামছুল আলমের স্ত্রী ও মেয়ে থানা হাজতে দেখতে যায় শামছুল আলমকে। তারা কান্নায় ভেংগে পড়েন। তারা জানেইনা তার স্বামী ও বাবা’র কি অপরাধ। শামছুল আলমকে গ্রেফতারকারী এস আই মোঃ খায়রুল ইসলাম কোর্টে আসামী চালানে লিখেছেন তিনি আওয়ামীলীগের সমর্থক! শামছুল আলমের পরিবার জানায়, সে কোন দলের রাজনীতিতে নেই । সে প্রতিহিংসা ও পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হয়েছে। কেন এমন হয়েছে তা জানেনা তার পরিবার!
সুত্র জানায়, এসআই (নিঃ) খায়রুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া চাঁন মিয়া (৪৮) ও শামছুল আলম (৫০)দ্বয়কে আওয়ামীলীগের সমর্থক দাবী রহমতপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করেন বলে কোর্টে পাঠানো চালান মারফত উল্লেখ করেন। জনমনে প্রশ্ন হলো, তাদেরকে রহমতপুর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে চুরখাই থেকে আটক করে , পুলিশ কেন রহমতপুর থেকে গ্রেফতার দেখালেন?
উল্লেখ্য গত জানুয়ারী মাসে কোতোয়ালী থানার ৭৬ নং মামলার এজাহারে তার নাম নাথাকলেও তাকে সন্দেহজনক আসামী দেখানো হয়।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তরে ছেংগারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: চার দোকান পুড়ে ছাই

ময়মনসিংহে যুবদলের নেতা এখন আ’লীগের নাষকতা মামলার আসামী

প্রকাশের সময় : ০৪:০৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লেখাপড়া করা সময়ে ফুলপুরের শামছুল আলম ছাত্রদল করতেন। এর পরে যুবদল। এর পরে রাজনীতি ছেড়ে দেন। ময়মনসিংহে এসে বসবাস করা সময়ে রহস্যজনক কারণে ১১ ফেব্রুয়ারী কোতোয়ার থানা পুলিশের খাতায় হয়ে গেলেন আওয়ামীগ সমর্থক! পুলিশের সাথেও তার বিরোধ থাকার কথা নয়? তাহলে কোন অদৃশ্য মন্ত্রবলে, কোন স্বার্থে বা কার স্বার্থে শামছুল আলম আওয়ামীলীগে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মামলায় আসামী হলেন? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সাধারন মানুষের মাঝে।
ময়মনসিংহ শহরের রাজবাড়ির পিছনে বসবাসকারী শামছুল আলম রাজনীতি ছেড়ে দিলেও পাশেই জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের নেতাকর্মীদের সাথে ছিলো উঠাবসা। ছেলেমেয়েদের লোখাপড়ার জন্য তিনি রাজনীতি ছাড়েন বলে পরিবার সুত্র জানায়। এক ছেলে দেশের বাইরে লেখাপড়া করেন। মেয়েও মেধাবী ছাত্রী। পরিবারে উপার্জনক্ষম শামছুল আলম। তাকে পুলিশ আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে মামলায় আসামী বানিয়ে কোর্টে পাঠিয়েছে! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু হয় এ জেলা শহরে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী হাত-পায়ে মোজা পড়ে শামছুল আলমের স্ত্রী ও মেয়ে থানা হাজতে দেখতে যায় শামছুল আলমকে। তারা কান্নায় ভেংগে পড়েন। তারা জানেইনা তার স্বামী ও বাবা’র কি অপরাধ। শামছুল আলমকে গ্রেফতারকারী এস আই মোঃ খায়রুল ইসলাম কোর্টে আসামী চালানে লিখেছেন তিনি আওয়ামীলীগের সমর্থক! শামছুল আলমের পরিবার জানায়, সে কোন দলের রাজনীতিতে নেই । সে প্রতিহিংসা ও পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হয়েছে। কেন এমন হয়েছে তা জানেনা তার পরিবার!
সুত্র জানায়, এসআই (নিঃ) খায়রুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া চাঁন মিয়া (৪৮) ও শামছুল আলম (৫০)দ্বয়কে আওয়ামীলীগের সমর্থক দাবী রহমতপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করেন বলে কোর্টে পাঠানো চালান মারফত উল্লেখ করেন। জনমনে প্রশ্ন হলো, তাদেরকে রহমতপুর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে চুরখাই থেকে আটক করে , পুলিশ কেন রহমতপুর থেকে গ্রেফতার দেখালেন?
উল্লেখ্য গত জানুয়ারী মাসে কোতোয়ালী থানার ৭৬ নং মামলার এজাহারে তার নাম নাথাকলেও তাকে সন্দেহজনক আসামী দেখানো হয়।