২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে এস ই এল মডেল একাডেমির মেধাবী শিক্ষার্থী মো. মাহবুব আলম ফাহিম। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে উপজেলার মধ্যে বৃত্তিপ্রাপ্ত দুইজন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলেদের মধ্যে সে একমাত্র এবং প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
চাঁন্দ্রাকান্দি এলাকায় অবস্থিত এস ই এল মডেল একাডেমি, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, রিহ্যাব এর সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল এঁর তত্ত্বাবধানে, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই ফাহিমের এই অসাধারণ সাফল্য এসেছে। নিজের প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফাহিম কেবল তার বিদ্যালয় নয়, পুরো মতলব উত্তর উপজেলাকে গর্বিত করেছে।
প্রধান শিক্ষক মো. সালাউদ্দিন বলেন, “আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে আমাদের শিক্ষার্থী মোঃ মাহবুব আলম ফাহিম ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে উপজেলায় সর্বোচ্চ নাম্বার অর্জন করে বৃত্তি লাভ করেছে। এটি শুধু আমাদের বিদ্যালয়ের নয়, পুরো মতলব উত্তর উপজেলার জন্য এক গৌরবজনক অর্জন। তার এই সাফল্য প্রমাণ করে যে মনোযোগ, পরিশ্রম ও সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি এবং আশা করি সে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে।
ফাহিমের এই সফলতা উদযাপন করতে গিয়ে একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল বলেন, “ফাহিম অত্যন্ত মনোযোগী, ভদ্র এবং অধ্যবসায়ী ছাত্র। আমি তার মেধা ও চরিত্রে মুগ্ধ। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “এই বৃত্তির মাধ্যমে আমি চাই সে আরও বড় স্বপ্ন দেখুক এবং দেশের একজন সৎ ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক।”
ফাহিমের এই কৃতিত্বে আনন্দে ভাসছে তার পরিবার, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সহপাঠী ও এলাকার মানুষ। এস ই এল মডেল একাডেমির শিক্ষকবৃন্দও ফাহিমের এই অসাধারণ অর্জনে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনার আয়োজন করার পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গেছে।
মাহবুব আলম ফাহিম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এই অর্জনের পেছনে আমার পরিবারের সহযোগিতা, শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও নিজের কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। ভবিষ্যতে আমি উচ্চশিক্ষা অর্জন করে দেশের জন্য কাজ করতে চাই।”
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকেও ফাহিমের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় দোয়া ও আশীর্বাদ জানানো হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে মতলব উত্তর উপজেলার জন্য এটি একটি গর্বের মুহূর্ত, যা আরও বহু শিক্ষার্থীকে অনুপ্রাণিত করবে।