ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে নারী সহ সাতজন পুশইন।

 

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে চার নারীসহ ৭ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোরে ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে ১০৮৩ পিলারের কাছ দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।

পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের আটক করে বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। আটককৃতদের মৌখিক জবানবন্দি অনুসারে তাদের পৈত্রিক বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট, বরগুনা, খুলনা ও ফরিদপুর জেলায়।

আটককৃতরা জানান ৫-৬ বছর পূর্বে ভারতে অবস্থানরত নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে কাজের সন্ধানে তারা ভারতে চলে যান। দিল্লি সহ বিভিন্ন শহরে তারা কাজকর্ম করতেন।

আটককৃতরা হচ্ছেন বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার পাঠামারা গ্রামের কাশেম আলীর খাঁর ছেলে বেলায়েত খাঁ (৫৫) ও একই গ্রামের বেলায়েত খাঁ এর ছেলে মোহম্মদ ইসলাম (২২), ফরিদপুর জেলার মোকসেদপুর থানার বগাইল গ্রামের মেহেবুব আলমের ছেলে কোরবান আলী (২৫), ও তার মা তাছলিমা (৫০) খুলনার জেলার খালিশপুর থানার বিশ্বাস পাড়া গ্রামের এলাকার সোহাগ মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার (৩০), তার বোন রোমি আক্তার (২০) বরগুনার জেলার পাথরঘাটা থানার ঘুটাবাছা গ্রামের রোস্তম খাঁর মেয়ে মায়া (৩২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ভারত থেকে ৭ জনকে পুশইন করছে এমন খবর পেয়ে গ্রামবাসী সীমান্তে অবস্থান নেয়। সাতজনের চলাফেরা সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করে এবং বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে পুশইন করার পর স্থানীয়রা সাতজন আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে পরে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

বকশীগঞ্জে নাবালিকা ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ, খালু গ্রেফতার।

বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে নারী সহ সাতজন পুশইন।

প্রকাশের সময় : ১২:৪০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে চার নারীসহ ৭ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোরে ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে ১০৮৩ পিলারের কাছ দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।

পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের আটক করে বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। আটককৃতদের মৌখিক জবানবন্দি অনুসারে তাদের পৈত্রিক বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট, বরগুনা, খুলনা ও ফরিদপুর জেলায়।

আটককৃতরা জানান ৫-৬ বছর পূর্বে ভারতে অবস্থানরত নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে কাজের সন্ধানে তারা ভারতে চলে যান। দিল্লি সহ বিভিন্ন শহরে তারা কাজকর্ম করতেন।

আটককৃতরা হচ্ছেন বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার পাঠামারা গ্রামের কাশেম আলীর খাঁর ছেলে বেলায়েত খাঁ (৫৫) ও একই গ্রামের বেলায়েত খাঁ এর ছেলে মোহম্মদ ইসলাম (২২), ফরিদপুর জেলার মোকসেদপুর থানার বগাইল গ্রামের মেহেবুব আলমের ছেলে কোরবান আলী (২৫), ও তার মা তাছলিমা (৫০) খুলনার জেলার খালিশপুর থানার বিশ্বাস পাড়া গ্রামের এলাকার সোহাগ মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার (৩০), তার বোন রোমি আক্তার (২০) বরগুনার জেলার পাথরঘাটা থানার ঘুটাবাছা গ্রামের রোস্তম খাঁর মেয়ে মায়া (৩২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ভারত থেকে ৭ জনকে পুশইন করছে এমন খবর পেয়ে গ্রামবাসী সীমান্তে অবস্থান নেয়। সাতজনের চলাফেরা সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করে এবং বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে পুশইন করার পর স্থানীয়রা সাতজন আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে পরে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।