ঢাকা ০৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফারাক্কা লংমার্চ পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অনুপ্রেরনা : বাংলাদেশ ন্যাপ

ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই ও সংগ্রামের অনুপ্রেরনা বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ফারাক্কার ভয়াবহতা সম্পর্কে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন। আর সে কারণেই ফারাক্কা বাঁধের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়।’

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মরণবাঁধ ফারাক্কার কারণে আজ বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ভারতের কাছ থেকে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় কোনো দলীয় সমস্যা নয়। এই সমস্যা দেশের এবং সমগ্র জাতির।’

তারা বলেন, ‘পানির অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এই অবস্থায় পানির অধিকার আদায়ে দ্বিপাক্ষিক, আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনা করতে হবে। ভারতকে বুঝতে বাধ্য করতে হবে আমাদের নায্য প্রাপ্তির বিষয়ে। আর এক্ষেত্রে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।’

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘ফারাক্কা কিংবা টিপাইমুখ বাঁধের এই সমস্যা কোনো দলীয় সমস্যা নয়। এই সমস্যা দেশের এবং সমগ্র জাতির। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ যাতে পানির ন্যায্য হিস্যা পায় সে বিষয়ে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে দল-মত নির্বিশেষে প্রস্তাব গ্রহন করা উচিত। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং চীন, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশকে আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। বন্ধু রাষ্ট্রকেও সৎ বন্ধুত্ব প্রমানের জন্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদেরও সচেতন হতে হবে যেকোনো ধরনের পানি আগ্রাসনের বিষয়ে।’

‘ফারাক্কা লংমার্চের মাধ্যমে মওলানা ভাসানী ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন তা সকল দেশপ্রেমিক শক্তির সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। টিপাইমুখ বাঁধসহ ভারতের সকল ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তরে দুর্বার পাঠশালার উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী মিলনমেলা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান

ফারাক্কা লংমার্চ পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অনুপ্রেরনা : বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশের সময় : ০১:১৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই ও সংগ্রামের অনুপ্রেরনা বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ফারাক্কার ভয়াবহতা সম্পর্কে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন। আর সে কারণেই ফারাক্কা বাঁধের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়।’

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মরণবাঁধ ফারাক্কার কারণে আজ বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ভারতের কাছ থেকে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় কোনো দলীয় সমস্যা নয়। এই সমস্যা দেশের এবং সমগ্র জাতির।’

তারা বলেন, ‘পানির অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এই অবস্থায় পানির অধিকার আদায়ে দ্বিপাক্ষিক, আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনা করতে হবে। ভারতকে বুঝতে বাধ্য করতে হবে আমাদের নায্য প্রাপ্তির বিষয়ে। আর এক্ষেত্রে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।’

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘ফারাক্কা কিংবা টিপাইমুখ বাঁধের এই সমস্যা কোনো দলীয় সমস্যা নয়। এই সমস্যা দেশের এবং সমগ্র জাতির। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ যাতে পানির ন্যায্য হিস্যা পায় সে বিষয়ে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে দল-মত নির্বিশেষে প্রস্তাব গ্রহন করা উচিত। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং চীন, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশকে আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। বন্ধু রাষ্ট্রকেও সৎ বন্ধুত্ব প্রমানের জন্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদেরও সচেতন হতে হবে যেকোনো ধরনের পানি আগ্রাসনের বিষয়ে।’

‘ফারাক্কা লংমার্চের মাধ্যমে মওলানা ভাসানী ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন তা সকল দেশপ্রেমিক শক্তির সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। টিপাইমুখ বাঁধসহ ভারতের সকল ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।