ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • প্রতিবেদক এর নাম
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে : বাংলাদেশ ন্যাপ

মানব সমাজের সামগ্রিক বিকাশ ও অগ্রগতিতে নারীরা পুরুষের সাথে সমানভাবে ক্ষেত্রবিশেষে অধিক অবদান রাখলেও নারীর প্রতি পশ্চাৎপদ ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী এখনও সমাজকে গ্রাস করে রেখেছে। মানুষ হিসাবে নারীর মানবধিকার, সমমর্যাদা, সমঅধিকারের দাবি নিদারুনভাবে এখনও উপেক্ষিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার (৮ মার্চ) “আন্তর্জাতিক নারী দিবস” উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। দেশে নারী নির্যাতন ও বিভিন্নভাবে হেনস্তার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। নেতৃদ্বয় বলেন, রাজনৈতিক ক্ষমতাও ধর্ষণ-নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সহিংসতায় অপব্যবহার হচ্ছে। ঘরে-বাইরে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য ও সহিংসতর অবসান, সমকাজে সমমজুরী নিশ্চিত করা সহ নারীর প্রতি সকল ধরণের বৈষম্যের অবসানে সকল মানবতাবাদী, যুক্তিবাদী, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। তারা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারীর হাজার বছরের লড়াই সংগ্রামের এক অর্জন, এ দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। বিদ্যমান পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা ক্রমশঃ বিকাশের ফলে নারী দিবসে এসেও নারীর সামগ্রিক অবস্থান তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। নেতৃদ্বয় বলেন, পুঁজিবাদ নারীকে পণ্যে পরিণত করে তার মুনাফা অর্জনের জন্য নারী অধন্ততা, নারী নির্যাতন এবং বৈষম্যের সকল উপাদানকে টিকিয়ে রাখে, কাজেই নারীমুক্তির মূল শত্রু পুঁজিবাদকে রুখে দেয়ার মধ্য দিয়ে নারীমুক্তির লড়াইকে বেগবান করতে হবে। তারা বলেন, নারী নির্যাতন খুন-ধর্ষণ ও শিশু হত্যা ভয়াবহ আকরে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই দেশের, কোনো না কোনো প্রান্তে নারী ও শিশুরা খুন-ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার প্রবণতা বেড়েছে। এই ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক ও উদ্বেগ জনক। এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে একটি গোস্টি। নারীদের সম্মান ও স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এটি নারীদের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। নারীর অপমানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তরে ছেংগারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: চার দোকান পুড়ে ছাই

নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে : বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে : বাংলাদেশ ন্যাপ

মানব সমাজের সামগ্রিক বিকাশ ও অগ্রগতিতে নারীরা পুরুষের সাথে সমানভাবে ক্ষেত্রবিশেষে অধিক অবদান রাখলেও নারীর প্রতি পশ্চাৎপদ ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী এখনও সমাজকে গ্রাস করে রেখেছে। মানুষ হিসাবে নারীর মানবধিকার, সমমর্যাদা, সমঅধিকারের দাবি নিদারুনভাবে এখনও উপেক্ষিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার (৮ মার্চ) “আন্তর্জাতিক নারী দিবস” উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। দেশে নারী নির্যাতন ও বিভিন্নভাবে হেনস্তার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। নেতৃদ্বয় বলেন, রাজনৈতিক ক্ষমতাও ধর্ষণ-নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সহিংসতায় অপব্যবহার হচ্ছে। ঘরে-বাইরে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য ও সহিংসতর অবসান, সমকাজে সমমজুরী নিশ্চিত করা সহ নারীর প্রতি সকল ধরণের বৈষম্যের অবসানে সকল মানবতাবাদী, যুক্তিবাদী, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। তারা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারীর হাজার বছরের লড়াই সংগ্রামের এক অর্জন, এ দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। বিদ্যমান পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা ক্রমশঃ বিকাশের ফলে নারী দিবসে এসেও নারীর সামগ্রিক অবস্থান তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। নেতৃদ্বয় বলেন, পুঁজিবাদ নারীকে পণ্যে পরিণত করে তার মুনাফা অর্জনের জন্য নারী অধন্ততা, নারী নির্যাতন এবং বৈষম্যের সকল উপাদানকে টিকিয়ে রাখে, কাজেই নারীমুক্তির মূল শত্রু পুঁজিবাদকে রুখে দেয়ার মধ্য দিয়ে নারীমুক্তির লড়াইকে বেগবান করতে হবে। তারা বলেন, নারী নির্যাতন খুন-ধর্ষণ ও শিশু হত্যা ভয়াবহ আকরে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই দেশের, কোনো না কোনো প্রান্তে নারী ও শিশুরা খুন-ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার প্রবণতা বেড়েছে। এই ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক ও উদ্বেগ জনক। এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে একটি গোস্টি। নারীদের সম্মান ও স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এটি নারীদের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। নারীর অপমানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।