ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের প্রবীন রাজনীতিক আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ন্যাপ’র শোক

  • প্রতিবেদক এর নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

দেশের প্রবীন রাজনীতিক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। শোকবার্তায় তারা বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতার মুক্তির রাজনীতির অনুসারী, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শিষ্টাচারের রাজনীতির একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির এক প্রান পুরুষ আবদুল্লাহ আল নোমানের শূন্যতা জাতি ও জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তি উপলব্ধি করবে দীর্ঘ সময়। তাঁর মত বিচক্ষণ ও মেধাবী নেতৃত্বের কতটা প্রয়োজন তা রাজনীতিতে অনুধাবন করতে সময় লাগবে না। তারা মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তি আজীবন তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। মহান আল্লাহ প্রিয় নেতাকে ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন আমীন।’ উল্লেখ্য, আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তরে ছেংগারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: চার দোকান পুড়ে ছাই

দেশের প্রবীন রাজনীতিক আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ন্যাপ’র শোক

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের প্রবীন রাজনীতিক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। শোকবার্তায় তারা বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতার মুক্তির রাজনীতির অনুসারী, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শিষ্টাচারের রাজনীতির একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির এক প্রান পুরুষ আবদুল্লাহ আল নোমানের শূন্যতা জাতি ও জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তি উপলব্ধি করবে দীর্ঘ সময়। তাঁর মত বিচক্ষণ ও মেধাবী নেতৃত্বের কতটা প্রয়োজন তা রাজনীতিতে অনুধাবন করতে সময় লাগবে না। তারা মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তি আজীবন তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। মহান আল্লাহ প্রিয় নেতাকে ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন আমীন।’ উল্লেখ্য, আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।