জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পৃর্বের শত্রুতা জের ধরে আম বাগান কাটার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সরকার পাড়া গ্রামের মৃত তারা মিয়ার ছেলে খাজা মিয়ার আম বাগান কাটার অভিযোগ উঠেছে ওই গ্ৰামের রফিজল সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে। জমি মালিক খাজা মিয়া জানান,হাতীভাঙ্গা মৌজাধীন বিআরএস ১৩৭৭নং খতিয়ানভুক্ত বিআরএস ২৩৭৫নং দাগে বাদীগংদের ১৮ শতাংশ জমির আমবাগান। আমার পিতা তারা মিয়া বর্ণিত দাগের ৩০ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক। ভোগদখলদার থাকাবস্থায় আমার পিতার নামে চূড়ান্ত ভাবে বিআরএস রেকর্ড রয়েছে। আমার পিতার মৃত্যুর পর আমি ও আমার ভাইবোন এবং মা পরবর্তী ওয়ারিশ মালিক হইয়া নিজ নিজ নামে ৫৭৬২নং খারিজ খতিয়ান খুলিয়া নিয়মিত খাজনা দিয়া আসিতেছি। পতিপক্ষ রফিজল হক দীর্ঘদিন থেকে উক্ত জমি ভোগদখলে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করিলে আমরা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের স্বরনাপন্ন হই। এরপর কয়েক দফায় সালিশ বৈঠকে গন্যমান্য ব্যক্তিগন আমাদেরকে ১৮ জমি শতাংশ জমি বুজিইয়া দিলে আমরা আমাদের উক্ত জমিতে উন্নত জাতের আমগাছের চারা লাগাইয়া দীর্ঘদিন থেকে পরিচর্যা করিয়া আসিতেছি। বর্তমান মৌসুমে আমাদের উক্ত আমবাগানের প্রত্যেকটি গাছে ফল ধরিয়াছিল। গত ২৫ এপ্রিল ভোরে আমখাওয়া গ্রামের রফিজল হক (৫৮), মহিজল (৫৫) হাসেম (৩২), মোঃ কাদের (৩৫) সরকার পাড়ার ছাইদুর রহমান (৪৮) খলিল মিয়া (৫৫) লাল মিয়া, পলিন (২৬), শাহাজামাল (৫৪) নাদের (২৮) মোহাম্মদ আলী (২১) আমাদের উক্ত আমবাগানে আসিয়া দা, কুড়াল ইত্যাদি দিয়া আমাদের ১৮ শতাংশ জমির আমবাগানের ৬৭টি ফল ধরন্তি আমগাছ গোড়ালিসহ কাটিয়া ঢালাইয়া তছরুপ করে। ওই সময় ঘটনা আশেপাশের লোকজন ফজরের নামাজ আদায় করতে এবং মাঠে কাজ করিতে যাওয়ার কালে ঘটনা দেখিয়া এবং আসামীদের চিনতে পারিয়া আমাদের বাড়ীতে সংবাদ দিলে আমরা ঘটনাস্থলে আসিয়া প্রতিবাদ করিলে আসামীগন দা, কুড়াল ইত্যাদি উচাইয়া আমাদেরকে খুন করিয়া লাশ গুম করার হুমকি দেয় এবং আমাদেরকে ঐ জমি ভোগদখল করা থেকে বিরত রাখার জন্য ভয়ভীতি অব্যহত রাখায় আমরা আমাদের জমিতে যেতে ও চলাফেরা করিতে জান মালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। এবিষয়ে খাজা মিয়া ১০জন কে অভিযুক্ত করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।