ঢাকা ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিরাইয়ের কর্ণগাঁও গ্রামের নদী থেকে আলীপাশা নামে এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ

  • প্রতিবেদক এর নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

 সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের কর্ণগাঁও গ্রামে রাইছমিলের পাশে সুরমা(কালণী) নদী থেকে এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে নদীতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন দিরাই থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ঐ ব্যাক্তির নাম মোঃ আলী পাশা(৩৮)। সে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা গ্রামের মৃত মুক্তার উল্ল্যাহ”র ছেলে। স্থানীয় ও আলীর পাশার স্বজনরা জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারী পাশ্ববর্তী দিরাই উপজেলার করিম ইউনিয়নের সাকিতপুর গ্রামের রুহেল মিয়া নামে এক ব্যাক্তি আলী পাশার পাওয়ার টিলারসহ তাকে সাকিতপুর গ্রামের হাওরে আমন জমিন চাষাবাদের জন্য নিয়ে যান। এরপর থেকেই আলী পাশা নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৫দিনের মাথায় নদীতে আলী পাশার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা দিরাই থানাকে অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। লাশের ছবিটি ফেইসবুকে ভাইরাল হলে টাইলা গ্রামের তার স্বজনরা দিরাই থানায় গিয়ে আলী পাশার লাশ বলে সনাক্ত করেন। পরে দিরাই থানা পুলিশ লাশটির ময়না তদন্তেরে জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টাইলা আলীর নিহত আলী পাশার মামা মোঃ জামাল উদ্দিন জানান,গত ৮ ফেব্রæয়ারী আলী পাশাকে তার পাওয়ার টিলারসহ সাকিতপুর গ্রামের রুহেল মিয়া(৪০) তার গ্রামের মাঠে আমন জমিন চাষাবাদের জন্য নিয়ে যান। এর পর থেকেই আলী পাশা নিখোঁজের ৫ দিনের মাথায় আলী পাশার নিথর দেহ কর্ণগাঁও গ্রামের সুরমা কালনী নদীতে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তিনি দাবী করেন তার ভাগিনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আলী পাশার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট দাবী জানান। এ ব্যাপারে সাকিতপুর গ্রামের রুহেল মিয়ার মোবাইল(০১৭৬৪৯৬৯৫৭৪) এই নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানান সম্ভব হয়নি। পশ্চিম বীরগাঁও ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মছরু মিয়া জানান,উদ্ধারকৃত লাশটি আমার চাচাতো ভাই। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য থাকায় বিষয়পি আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। এ ব্যাপারে দিরাই থানার ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ময়না তদন্তের জন্য লাশটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

ব্লাড নিয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবীদের মানববন্ধন

দিরাইয়ের কর্ণগাঁও গ্রামের নদী থেকে আলীপাশা নামে এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশের সময় : ০৮:১৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের কর্ণগাঁও গ্রামে রাইছমিলের পাশে সুরমা(কালণী) নদী থেকে এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে নদীতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন দিরাই থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ঐ ব্যাক্তির নাম মোঃ আলী পাশা(৩৮)। সে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা গ্রামের মৃত মুক্তার উল্ল্যাহ”র ছেলে। স্থানীয় ও আলীর পাশার স্বজনরা জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারী পাশ্ববর্তী দিরাই উপজেলার করিম ইউনিয়নের সাকিতপুর গ্রামের রুহেল মিয়া নামে এক ব্যাক্তি আলী পাশার পাওয়ার টিলারসহ তাকে সাকিতপুর গ্রামের হাওরে আমন জমিন চাষাবাদের জন্য নিয়ে যান। এরপর থেকেই আলী পাশা নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৫দিনের মাথায় নদীতে আলী পাশার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা দিরাই থানাকে অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। লাশের ছবিটি ফেইসবুকে ভাইরাল হলে টাইলা গ্রামের তার স্বজনরা দিরাই থানায় গিয়ে আলী পাশার লাশ বলে সনাক্ত করেন। পরে দিরাই থানা পুলিশ লাশটির ময়না তদন্তেরে জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টাইলা আলীর নিহত আলী পাশার মামা মোঃ জামাল উদ্দিন জানান,গত ৮ ফেব্রæয়ারী আলী পাশাকে তার পাওয়ার টিলারসহ সাকিতপুর গ্রামের রুহেল মিয়া(৪০) তার গ্রামের মাঠে আমন জমিন চাষাবাদের জন্য নিয়ে যান। এর পর থেকেই আলী পাশা নিখোঁজের ৫ দিনের মাথায় আলী পাশার নিথর দেহ কর্ণগাঁও গ্রামের সুরমা কালনী নদীতে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তিনি দাবী করেন তার ভাগিনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আলী পাশার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট দাবী জানান। এ ব্যাপারে সাকিতপুর গ্রামের রুহেল মিয়ার মোবাইল(০১৭৬৪৯৬৯৫৭৪) এই নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানান সম্ভব হয়নি। পশ্চিম বীরগাঁও ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মছরু মিয়া জানান,উদ্ধারকৃত লাশটি আমার চাচাতো ভাই। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য থাকায় বিষয়পি আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। এ ব্যাপারে দিরাই থানার ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ময়না তদন্তের জন্য লাশটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।