মমিনুল ইসলাম: 
মমিনুল ইসলাম:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষক সমাজকে সংগঠিত করতে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর ও দক্ষিণসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছুটে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি সম্প্রতি মতলবের পৌরসভা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কৃষক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ৩১ দফা কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তার নেতৃত্বে কৃষক দলের কর্মকাণ্ডে নতুন গতি এসেছে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মন্তব্য।
ছেংগারচর পৌর কৃষক দলের সভাপতি মো. জাকির দর্জি বলেন, আমাদের কৃষক সমাজ আজ অবহেলিত। ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু সাহেব কৃষকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যেমন সরব, তেমনি সংগঠনকে শক্তিশালী করতেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কৃষক সমাজের দাবি-দাওয়ার পক্ষে কথা বলছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশের কৃষি খাতসহ সার্বিক অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে।
ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু বলেন,
- ‘তারেক রহমানের ৩১ দফা শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের একটি রূপরেখা। কৃষক সমাজ আমাদের দেশের মেরুদণ্ড, অথচ তারা বারবার অবহেলার শিকার হয়েছে। আমরা কৃষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মাঠে আছি, এবং থাকবো। আমি চাই, প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত কৃষক দলকে সুসংগঠিত করে একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলতে। কারণ তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হলে কৃষকদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা, তাদের সমস্যা শোনা এবং সংগঠনকে গতিশীল করে তোলা। আমি প্রত্যাশা করি, আমাদের এ প্রচেষ্টা একদিন দেশের কৃষক সমাজের মুখে হাসি ফোটাবে।’
ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু বলেন, ‘চাঁদপুর-২ নির্বাচনী এলাকা মতলব উত্তর ও দক্ষিণ এ দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় কৃষিপ্রধান অঞ্চল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই এলাকার কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও বঞ্চিত। তারা যেমন সঠিক দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন না, তেমনি কৃষি উপকরণ ও সরকারি সহায়তা থেকেও তারা বঞ্চিত হন। আমি বিশ্বাস করি, এই অঞ্চলের উন্নয়ন এবং কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে। এজন্য আমি মাঠে নেমেছি, কৃষক ভাইদের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে গঠিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা এই এলাকার কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কৃষি খাতকে আধুনিকীকরণের কাজ করতে পারবো। আমি চাই, চাঁদপুর-২ নির্বাচনী এলাকা একদিন হবে দেশের একটি মডেল কৃষি অঞ্চল। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি জনগণের পাশে আছি, থাকবো এবং ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।’
“এ সময় কৃষক দলের নেতারা তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, দেশের প্রতিটি কৃষকের পাশে দাঁড়াতে কৃষক দল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
