ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারখান লাইফস্টাইল স্টোর: পার্টনারশিপ ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার অভিযোগ

  • প্রতিবেদক এর নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্টার : ময়মনসিংহ নগরীর ৭৮ শেওড়া ধোপাখোলা মোড়ে গার্মেন্টস ব্যবসা “তারখান লাইফস্টাইল স্টোর” নামে একটি পার্টনারশিপ ব্যবসা শুরু করেন এনটিভির ক্যামেরাম্যান মাসুদ রানা, সোহাগ মাহমুদ, সোহেল রানা এবং রেজাউল করিম রেজা। চট্টগ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম রেজা তার সকল সম্পদ বিক্রি করে এই ব্যবসায় যৌথ মালিকানা গ্রহণ করেন। শুরুতে ব্যবসাটি ভালো চললেও পরে নানা অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসে। ব্যবসার অন্যতম পার্টনার মাসুদ রানা বিভিন্ন নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত টাকা সরিয়ে নিতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন রেজাউল করিম রেজা। একপর্যায়ে মাসুদ রানা তাকে ষড়যন্ত্র করে ব্যবসা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে, মাসুদ রানার আস্থাভাজন মো. কামাল হোসেন ও প্রান্ত সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনটি স্ট্যাম্পের (মূল্য ৩০০ টাকা) মাধ্যমে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। এতে বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রেজাউল করিম রেজাকে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে এবং তাকে চেক প্রদান করা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে টাকা না পাওয়ায় তিনি আদালতের আশ্রয় নেন। বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত রেজাউল করিম রেজার পক্ষে রায় দেন এবং মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু মাসুদ রানা আইনি বাধ্যবাধকতা এড়াতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে দৈনিক পতিতালয় ও সাংবাদিক ইউনুসসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকেন। এসব ভুয়া আইডির মাধ্যমে ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করে রেজাউল করিম রেজার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়। ২০১৭ সালে মাসুদ রানা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিস খান ও খায়রুল আলম রফিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেন এবং ৩১টি ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ইদ্রিস খানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। মামলার পর সিআইডি তদন্তে ২৯টি ফেসবুক আইডি মাসুদ রানার সাথে সংশ্লিষ্ট বলে প্রমাণিত হয়। রেজাউল করিম রেজা ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি কারো বিরুদ্ধে কোনো ভুয়া ফেসবুক আইডি পরিচালনা করেন না। তিনি সকল সহকর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চান এবং এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, যদি কেউ বিশ্বাস না করেন, তাহলে তিনি সিআইডির সকল কাগজপত্রসহ বসতে প্রস্তুত। তিনি সকল সাংবাদিককে আহ্বান জানান যেন তারা প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেন এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটন হোক।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তরে ছেংগারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: চার দোকান পুড়ে ছাই

তারখান লাইফস্টাইল স্টোর: পার্টনারশিপ ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

রিপোর্টার : ময়মনসিংহ নগরীর ৭৮ শেওড়া ধোপাখোলা মোড়ে গার্মেন্টস ব্যবসা “তারখান লাইফস্টাইল স্টোর” নামে একটি পার্টনারশিপ ব্যবসা শুরু করেন এনটিভির ক্যামেরাম্যান মাসুদ রানা, সোহাগ মাহমুদ, সোহেল রানা এবং রেজাউল করিম রেজা। চট্টগ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম রেজা তার সকল সম্পদ বিক্রি করে এই ব্যবসায় যৌথ মালিকানা গ্রহণ করেন। শুরুতে ব্যবসাটি ভালো চললেও পরে নানা অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসে। ব্যবসার অন্যতম পার্টনার মাসুদ রানা বিভিন্ন নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত টাকা সরিয়ে নিতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন রেজাউল করিম রেজা। একপর্যায়ে মাসুদ রানা তাকে ষড়যন্ত্র করে ব্যবসা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে, মাসুদ রানার আস্থাভাজন মো. কামাল হোসেন ও প্রান্ত সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনটি স্ট্যাম্পের (মূল্য ৩০০ টাকা) মাধ্যমে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। এতে বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রেজাউল করিম রেজাকে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে এবং তাকে চেক প্রদান করা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে টাকা না পাওয়ায় তিনি আদালতের আশ্রয় নেন। বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত রেজাউল করিম রেজার পক্ষে রায় দেন এবং মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু মাসুদ রানা আইনি বাধ্যবাধকতা এড়াতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে দৈনিক পতিতালয় ও সাংবাদিক ইউনুসসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকেন। এসব ভুয়া আইডির মাধ্যমে ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করে রেজাউল করিম রেজার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়। ২০১৭ সালে মাসুদ রানা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিস খান ও খায়রুল আলম রফিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেন এবং ৩১টি ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ইদ্রিস খানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। মামলার পর সিআইডি তদন্তে ২৯টি ফেসবুক আইডি মাসুদ রানার সাথে সংশ্লিষ্ট বলে প্রমাণিত হয়। রেজাউল করিম রেজা ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি কারো বিরুদ্ধে কোনো ভুয়া ফেসবুক আইডি পরিচালনা করেন না। তিনি সকল সহকর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চান এবং এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, যদি কেউ বিশ্বাস না করেন, তাহলে তিনি সিআইডির সকল কাগজপত্রসহ বসতে প্রস্তুত। তিনি সকল সাংবাদিককে আহ্বান জানান যেন তারা প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেন এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটন হোক।