মোঃ তৌহিদুজ্জামান (টিটু) ডুমুরিয়া প্রতিনিধিঃ
খুলনার ডুমুরিয়ার কুলটী নদী থেকে সরকারি ওষুধ উদ্ধার করেছে জেলেরা। সরকারি ওষুধ তছরুপ ও বিনষ্টের অভিযােগে জিলেরডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিকে প্রত্যাহার করা হয়ছ। বুধবার ১২ এপ্রিল সকালে উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়েন জিলেরডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনের কুলটি নদী থেকে গত মঙ্গলবার জেলেরা মাছ ধরতে যেয়ে এক বস্তা সরকারি ওষুধ উদ্ধার করে ক্লিনিকর পাশে রেখে দেয় এবং কমিউনিটি-হেলথ-কেয়ার-প্রােভাইডার (সিএইচসিপি) আইরিন খানকে অবহিত করে। এরপর আইরিন কৌশলে বস্তাবন্দি ওষুধগুলাে ক্লিনিকের পেছনে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে। গত এক বছর আগে বস্তাবন্দি করা সরকারি এই ওষুধ নদীতে ফেলে দেন তিনি।যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাে দুরের কথা কমিউনিটি ক্লিনিক কমিটির কেউ জানেনা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রােগী দেখার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি, স্বেছাচারিতা ও অসাদাচরণসহ এলাকাবাসীর নানা অভিযােগ দীর্ঘদিনের।নদীত ওষুধ পাওয়ার পর থেকে এলাকার মানুষ ব্যাপক ভাবে ফুঁসে উঠেছে ওই সিএইচসিপি’র বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এলাকার শতাধিক নারি-পুরুষ কমিউনিটি ক্লিনিক ঘেরাও করে রাখে। সিএইচসিপি আইরিনকে ক্লিনিক ঢুকতে নিষেধ করে তারা। কুলটী গ্রামের লিটন মন্ডল জানান, ‘সিএইচসিপি আইরিন খান সরকারি ওষুধ বস্তাবন্দি করে পানিতে ফেলে দিয়েছে। মঙ্গলবার জেলেরা মাছ ধরতে যেয়ে ওষুধ গুলাে পেয়ে গ্রামবাসীকে জানায় এবং ওষুধগুলাে ক্লিনিকের পাশে রেখে দেয়। কােন কিছু কাউকে না জানিয়ে সেই ওষুধ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে আইরিন। যারমধ্য মেয়াদাত্তীর্ণ ছাড়াও আগামী ২৪-২৫ সাল মেয়াদী পর্যন্ত ওষুধ রয়েছে অনেক। তিনি বলেন, গ্রামের কেউ অসুস্হ হয়ে তার কাছে গেলে তিনি চিকিৎসা দিতে অনিহা দেখান।’ তার বিরুদ্ধে এমন অভিযােগ এলাকার শতশত মানুষের। উপজলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুফিয়ান রুস্তম জানান, তিনি খবর পেয়েই কমিউনিটি ক্লিনিক আসেন। সিএইচসিপি’র বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযােগের সত্যতা মিলেছে। কােন অনুমতি বা যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া সরকারি ওষুধ বিনষ্ট করার নিয়ম নেই। সিএইচসিপি আইরিন খানকে ক্লােজড করা হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তারপর তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলােকে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।’