ঢাকাবুধবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  1. Breaking News
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আজকের রাশিফল
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আপরাধ
  7. কৃষি
  8. কোভিড-১৯
  9. ক্যাম্পাস
  10. খেলাধুলা
  11. জাঁতীয়
  12. জামালপুর
  13. টপ স্লাইডার
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. দূর্ঘটনা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টেস্ট না করে রোগীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

Sokal Pratidin
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ ৮:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এক শিশু রোগীর টেস্ট না করেও টেস্ট রিপোর্টের বিল নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওই শিশুর মা রোজিনা খাতুনের। রোজিনা উপজেলার নাদৌড় গ্রামের সাগর হোসেনের স্ত্রী।রেজিনা খাতুন বলেন গত ডিসেম্বর মাসে আমি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হই পরে আমাদের ৩ বছরের মেয়ে সাকুরা আমার কাছে ছিল সেও জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় আমি যে বেডে ছিলাম ৪৭ নং বেডে তাকে ১৯ তারিখে ভর্তি করে চিকিৎসা চলছিল বাচ্চার জ্বর কমছিলনা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক কয়েকটি টেস্ট করে আনতে বলেন রিপোর্ট জন্য হাসপাতালের কাউন্টারে তিনশত টাকা জমা দিয়ে রশিদ নিয়ে ল্যাবে গেলে স্যাম্পল কালেকশন করে একটু পরে জানান টেকনিক্যাল প্রবলেম আজ রিপোর্ট হবে না আগামী কাল ২টার সময় হবে এ দিকে বাচ্চার অবস্থা ভাল নয় দেখে বাহিরের ডায়াগনস্টিক থেকে বেশী মূল্যে টেস্ট করিয়ে ডাক্তার কে দেখালে তারা চিকিৎসা দেন এবং কয়েক দিনে বাচ্চা সুস্থ হয় ২২ তারিখে রিলিজ করে । টাকা জমা দিয়ে রিপোর্ট না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে হাসপাতালে কর্তব্যরতরা বলেন স্যার ( ইউএইচএফপিও) রাজশাহীতে ট্রেইনিংয়ে গেছেন আসলে রশিদ নিয়ে আসবেন তাহলে টাকা ফেরত পাবেন। এদিকে স্যার আসলেও দিনের পর দিন ঘুরেও সে টাকা ফেরত না পেয়ে রোজিনা খাতুন আক্ষেপ করে বলেন আমরা গরীব

মানুষ ৩ শ টাকা হলে আমাদের পরিবারের ১৫ দিনের চাল কেনা হতো। কিছু দিনের ব্যবধানে প্রথমে আমি পরে মেয়ে এবং মেয়ের বাবা তিনজনই ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হই অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। হাসপাতালে শুধু চিকিৎসা দিয়েছে সব ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। তার স্বামী সাগর হোসেন বলেন স্যার আসার পরে আমি হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরতরা একজন আর একজনকে দেখিয়ে বলেন ওখানে যান সেখানে যান ওনার কাছে যান তিনার কাছে যান আবার কেউ বলে স্যারের নিষেধ আছে টাকা দেওয়া যাবে না, কেউ পাত্তা দেয় না, স্যারের সাথে দেখা করতে চাইলে স্যার নাই বাহিরে গেছে, মিটিংয়ে আছে স্যারের ফোন নং চাইলেও কেউ দেয় না। এই টাকা নিতে ঘুরতে ঘুরতে আমার আরও প্রায় ২শ টাকা খরচ হয়ে গেছে তবু ও এক দেড় মাসেও টাকা পাইনি।

আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। এ ছাড়া আমাদের কিছু করার নাই।এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন রিপোর্টের আগেই টাকা জমা নেওয়া হয়। এই টাকা অলরেডি সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হয়ে গেছে , ফেরত দিলে আমার পকেট থেকে দিতে হবে।নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার বলেন টাকা রাজস্ব খাতে জমা হলে আর কিছু করার নেয়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।