ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই অভ্যুত্থানের কাঙ্খিত দেশ বিনির্মান করতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

হাজার হাজার আন্দোলনকারীর আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসকের বিদায় হলেও জনগনের কাঙ্খিত বাংলাদেশ এখনো অধরাই রয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের জুলাই অভ্যুত্থানের কাঙ্খিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত না হলে আবারো নতুন ফ্যাসীবাদ ও লুটরাগোষ্টি জনগনের কাঁধে চেপে বসার আশঙ্কা রয়েছে’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের কাঙ্খিত দেশ বিনির্মান করতে হবে।

তারা বলেন, ‘বৈষম্য বিলোপের শ্লোগান তুলে হাজার হাজার মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছে জনগন, সেই স্বপ্ন ক্রমেই অধরা হয়ে উঠছে। গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে এখন একধরনের ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে দেশবাসী মনে করছে। অসংখ্য নির্দোষ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে, মামলাবাজির নামে নানা ব্যবসার কথা শোনা যাচ্ছে, মব সৃষ্টির সাধ্যমে সমাজে নানা বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, আইনের শাসন বাঁধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। এগুলো সবই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সোমবার (৩০ জুন) জুলাই অভ্যুত্থানের উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও অংশগ্রহনকারী সোনীদের গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘দেশে ক্রমান্বয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তার মধ্যে নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে। পুরো সমাজের মধ্যে আবার একটা নতুন ফ্যাসিবাদী শক্তির নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এখনই প্রতিবাদ করতে হবে। তা না হলে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন ছিনাতাই হয়ে যেতে পারে।

তারা আরো বলেন, ‘ৎুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সেখানে জনগণ একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। জুলাইয়ে শুরু হওয়া সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহলের আজ্ঞাবহতা বর্জন করে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বাস্তবায়নের পথে ফিরে আসতে বাধ্য করতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটাতে সক্ষম হলেও ফ্যাসিবাদী কাঠামোর সম্পূর্ণ বিলোপ এখনো সম্ভব হয়নি। ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিলোপ ঘটাতে না পারলে জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জন ছিনতাই হয়ে যেতে বাধ্য। আর তা যদি ছিনতাই হয়ে যায় তাহলে সমগ্র জাতিকে কঠিন মাসুল দিতে হবে।

তারা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন মানেই ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার পতন নয়। ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করতে হলে, জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি, শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে ফ্যাসিবাদী আদর্শের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

বকশীগঞ্জে নাবালিকা ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ, খালু গ্রেফতার।

জুলাই অভ্যুত্থানের কাঙ্খিত দেশ বিনির্মান করতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশের সময় : ০৪:১১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

হাজার হাজার আন্দোলনকারীর আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসকের বিদায় হলেও জনগনের কাঙ্খিত বাংলাদেশ এখনো অধরাই রয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের জুলাই অভ্যুত্থানের কাঙ্খিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত না হলে আবারো নতুন ফ্যাসীবাদ ও লুটরাগোষ্টি জনগনের কাঁধে চেপে বসার আশঙ্কা রয়েছে’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের কাঙ্খিত দেশ বিনির্মান করতে হবে।

তারা বলেন, ‘বৈষম্য বিলোপের শ্লোগান তুলে হাজার হাজার মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছে জনগন, সেই স্বপ্ন ক্রমেই অধরা হয়ে উঠছে। গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে এখন একধরনের ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে দেশবাসী মনে করছে। অসংখ্য নির্দোষ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে, মামলাবাজির নামে নানা ব্যবসার কথা শোনা যাচ্ছে, মব সৃষ্টির সাধ্যমে সমাজে নানা বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, আইনের শাসন বাঁধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। এগুলো সবই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সোমবার (৩০ জুন) জুলাই অভ্যুত্থানের উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও অংশগ্রহনকারী সোনীদের গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘দেশে ক্রমান্বয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তার মধ্যে নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে। পুরো সমাজের মধ্যে আবার একটা নতুন ফ্যাসিবাদী শক্তির নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এখনই প্রতিবাদ করতে হবে। তা না হলে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন ছিনাতাই হয়ে যেতে পারে।

তারা আরো বলেন, ‘ৎুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সেখানে জনগণ একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। জুলাইয়ে শুরু হওয়া সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহলের আজ্ঞাবহতা বর্জন করে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বাস্তবায়নের পথে ফিরে আসতে বাধ্য করতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটাতে সক্ষম হলেও ফ্যাসিবাদী কাঠামোর সম্পূর্ণ বিলোপ এখনো সম্ভব হয়নি। ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিলোপ ঘটাতে না পারলে জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জন ছিনতাই হয়ে যেতে বাধ্য। আর তা যদি ছিনতাই হয়ে যায় তাহলে সমগ্র জাতিকে কঠিন মাসুল দিতে হবে।

তারা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন মানেই ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার পতন নয়। ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করতে হলে, জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি, শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে ফ্যাসিবাদী আদর্শের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।