চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সুলতান মাহামুদ ও সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে হামলার শিকার টুপি ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উত্তর চাষাড়ার মৃত চান মিয়ার ছেলে সুলতান মাহামুদ ও পশ্চিম শিহাচরের মৃত আব্দুল বাতেন ডিলারের ছেলে সাহাবুদ্দিনসহ আরো ৪/৫ জন চিহ্নিত অপরাধীরা দীর্ঘদিন যাবৎ ডিআইটি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ইসলামি সামগ্রী বিক্রেতা আকরাম হোসেন এর কাছ থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত বছরের ২ জুলাই রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকায় আকরামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোটা ও ছুরি দিয়ে দেশীয় অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এতে আকরামের মুখমন্ডলের বামদিক এবং বাম চোখে আঘাত প্রাপ্ত হয়। ঐ সময় ব্যবসায়ীক হিসাবের খাতা ছিনিয়ে নেয় এবং খাতায় একটি অলিখিত ইসলামি ব্যাংকের চেকের পাতা ছিল যাহা আসামীরা ছিনিয়ে নিয়ে আর ফিরিয়ে দেয়নি। এছাড়া ক্যাশ থেকে ৭ হাজার ৬০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত আকরামের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় হুমকী দিয়ে বলে যায় যদি আমাদের টাকা না দেছ তাহলে তর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানী করবো। উক্ত ঘটনায় আহত হয়ে আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন আকরাম। কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। গত ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগটি তুলে নিতে গত ২২ এপ্রিল দুপুর দেড়টায় আকরাম তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায় ১নং আসামী মোবাইলে ফোন করে পুনরায় চাঁদা দাবী করে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে হয়রানী করার হুমকী প্রদান করে। যার ফলে ২৭ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আকরাম। বর্তমানে আকরাম ও তার পরিবারের সদস্যরা অদ্যাবধি আসামীদের অব্যাহত হুমকীতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উল্লেখ্য যে, উক্ত সুলতান মাহামুদ ও সাহাবুদ্দিন চিহ্নিত প্রতারক এবং মামলাবাজ। সন্ত্রাসী প্রকৃতির এবং এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে তারপরও জামিনে বেরিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারনা ও হুমকী ধামকী দিয়ে হয়রানী করছে।