গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথেই লড়বো, মতলবকে গড়বো সম্ভাবনার কেন্দ্র :চাঁদপুর-২ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজি
✍️ মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-এর যুগ্ম মহাসচিব ও ২০ দলীয় জোটের মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজি একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন—
“ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে আমি রাজপথে লড়ছি, জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিদান দিতেই আমার রাজনীতি।”
তিনি বলেন, “দেশে গত ১৭ বছর ধরে একটি অবৈধ, দখলদার, ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় ছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা ভারতের মাটিতে পালিয়েছে। এখনো তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের রাজপথে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে।”
“আমাদের আন্দোলন ছিল ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার, জনগণের সরকার গঠনের জন্য।”
তিনি বলেন, “কর্নেল অলি আহমদ-এর নেতৃত্ব ও আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে আমি রাজনীতিতে এসেছি। মতলব উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ—চাঁদপুর-২ আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহরে আমাদের সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে। রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামকে সুসংগঠিত করে এগিয়ে নিতে হবে।”

বিল্লাল হোসেন মিয়াজি এর রাজনৈতিক পথচলা শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে। এরপর তিনি জাতীয়তাবাদী যুবদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে দীর্ঘ সময় রাজপথে কাজ করেছে। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে বিল্লাল হোসেন মিয়াজি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-তে যোগ দেয় এবং ২০০৮ সালে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
❝মতলবকে মডেল নির্বাচনী এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবো❞
মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজি বলেন,
“মতলব উত্তর ও দক্ষিণ একটি সম্ভাবনাময় জনপদ। কিন্তু সঠিক নেতৃত্ব ও পরিকল্পনার অভাবে এখানকার মানুষ পিছিয়ে পড়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই জনপদকে যদি পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে এটি সারা দেশের জন্য একটি উদাহরণ হবে।”
সাক্ষাৎকারে তিনি তার উন্নয়ন পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন—
🔹 কৃষি ও মৎস্য খাতে আধুনিকায়ন:
“কৃষকদের ন্যায্যমূল্য, জেলেদের সুরক্ষা ও মাছ রপ্তানির সুযোগ তৈরিতে হিমাগার, প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়নভিত্তিক কৃষি সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।”
🔹 যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান:
“প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ, আইটি প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য তহবিল গঠন করবো। তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই হবে আমার অন্যতম অগ্রাধিকার।”
🔹 শিক্ষা ও স্বাস্থ্য:
“উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমি উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিশ্চিত করবো এবং প্রতিটি ইউনিয়নে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো।”
🔹 অবকাঠামো ও নাগরিক সুবিধা:
“রাস্তাঘাট, সেতু, ড্রেনেজ, পানি ও বিদ্যুৎ—সবকিছুতেই পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রয়োজন। বিশেষত ছেংগারচর পৌর এলাকা এবং গ্রামীণ জনপদের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করতে আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করবো।”
🔹 দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন:
“জনগণের করের টাকার অপচয় বন্ধ করতে হলে প্রশাসনকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। আমি দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করবো।”
তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন—
“আমি রাজনীতি করি মানুষের পাশে থাকার জন্য। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আমি এই এলাকার প্রতিটি মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে জাতীয় সংসদে তাদের দাবি তুলে ধরবো।”
স্থানীয় নেতাদের প্রতিক্রিয়া:
মতলব উত্তর উপজেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক মহিবউল্যা খোকন বলেন,
“বিল্লাল মিয়াজি শুধু আমাদের নেতা নন, তিনি মতলবের মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। আমরা তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।”
গণতান্ত্রিক যুবদলের মতলব উত্তর উপজেলা সভাপতি মো. জামান পাটোয়ারী বলেন,
“এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের আন্দোলনে আমাদের রাজপথে থেকেই লড়তে হবে। বিল্লাল ভাইয়ের নেতৃত্বেই আমরা আশাবাদী।”
ছেংগারচর পৌর গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি মো. সুমন সরদার বলেন,
“তিনি একজন সংগ্রামী নেতা, রাজপথের যোদ্ধা। আমরা মাঠে আছি, থাকবো, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত।”
📌 সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও প্রতিবেদন:
মতলব প্রতিনিধি, এম ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক 









