ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এলেঙ্গা-ভ‚ঞাপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক —- ১২ কোটি টাকার বরাদ্দের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা-ভ‚ঞাপুর চরগাবসারা আঞ্চলিক মহাসড়কের ১২ কোটি টাকাবরাদ্দের সংস্কার কাজে ধীরগতি ও নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করাসহ নানা
অভিযোগ উঠেছে। ফলে সড়কের কাজ নি¤œমানের হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে
পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। এতে এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিনই বিকল
হচ্ছে যানবাহন।
জানা গেছে, এলেঙ্গা-চরগাবসারা ভায়া ভ‚ঞাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাবল
বিটুমিনাস সারভেস ট্রিটমেন্ট পদ্ধতিতে সংস্কার কাজের প্রকল্প গ্রহণ করে
সড়ক ও জনপদ বিভাগ। প্রায় ১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার এই সংস্কার কাজ চলতি
বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে পাথর, বিটুমিন ও কেরোসিনের
সংমিশ্রণে সড়কে কার্পেটিং করার অভিযোগ উঠেছে। ২২ কিলোমিটার
সড়কের মধ্যে প্রায় ইতোমধ্যে ৯ কিলোমিটারের কাজ শেষ করা হয়েছে। তবে
সড়কে খানাখন্দ ও ফাটল সংস্কার না করেই নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করে
এভাবেই কার্পেটিং করায় বেশিদিন সুফল না পাওয়ার আশঙ্কা সড়ক ব্যবহারকারীদের।
এরআগেও গত বছর দুই বার এই সড়কের সংষ্কার করেছে সওজ কর্তৃপক্ষ।
সিএনজি চালক জাহিদ। অন্য চালকরা যখন যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালিয়ে উপার্জন
করছেন সেখানে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ি মেরামত কাজে ব্যস্ত। সড়ক সংষ্কার
কাজের কারণে তার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে ভ‚ঞাপুর থেকে এলেঙ্গা যাওয়ার
পথে পালিমা ব্রিজ এলাকায় তার গাড়ির চাকা ফেঁটে যায়। পরে একটি নতুন
চাঁকা কিনে লাগানোর কাজ করছেন তিনি নিজেই। শুধু জাহিদই নয় তার মত
অনেক চালকই সড়কের সংস্কার কাজের কারণে পরিবহন বিকল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ
হয়েছেন। অনেক চালক সড়কের উপরই যাত্রী দাড় করিয়ে রেখে গাড়ি মেরামত করছেন।
এছাড়া চলন্ত অবস্থায় সড়কের পাথর ছিটে গিয়ে যাত্রীদের শরীরে লাগছে। এছাড়া
পাথরের কারণে গাড়ির কাজ ভেঙে যাচ্ছে।
জাহিদ জানায়, সপ্তাহে ৩বার চাঁকা পরিবর্তন করতে হয়েছে। যেভাবে সড়কের
কাজ করছে তাতে চালকদের গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। এতে সারাদিনে যে উপার্জন হয়
তাতে সংসার চলে। তীব্র রোদের মধ্যে সড়কে গাড়ি মেরামত করতে হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এলেঙ্গা-ভ‚ঞাপুর সড়কের কুচটি এলাকায় সংস্কার কাজ
করছে ঠিদাকারের লোকজন। পূর্বে কার্পেটিং করা পাথরের উপর ছোট পাথর দিয়ে
পুনরায় কার্পেটিং করা হচ্ছে। এতে সড়কে ফেলানো পাথরগুলো গাড়ির চাঁকায়
উঠে আসছে। ঠিকাদারের দাবি ৩৫ ভাগ পাথর উঠে পড়বে। তবে সেই পাথরগুলো
সড়কেই থাকবে। একসময় সে পাথরগুলো সড়কে লেগে যাবে।
পরিবহন চালকরা জানায়, আগের সড়কটিই ভাল ছিল। তবে যে অংশটুকুতে খানাখন্দ
বা ফাটল ধরেছিল সেটাই সংস্কার করা দরকার ছিল। এভাবে পুরো সড়ক এভাবে পাথর
ছিটিয়ে কাজ করা ঠিক হয়নি। স্থানীয়রা জানান, সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ সংস্কার
না করে এভাবে ভাল সড়ক সংস্কারের নামে নি¤œমানের কাজ করায় সরকারের কোটি
কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। এতে ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা লাভবান হচ্ছে।

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তরে দুর্বার পাঠশালার উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী মিলনমেলা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান

এলেঙ্গা-ভ‚ঞাপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক —- ১২ কোটি টাকার বরাদ্দের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৪:১২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা-ভ‚ঞাপুর চরগাবসারা আঞ্চলিক মহাসড়কের ১২ কোটি টাকাবরাদ্দের সংস্কার কাজে ধীরগতি ও নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করাসহ নানা
অভিযোগ উঠেছে। ফলে সড়কের কাজ নি¤œমানের হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে
পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। এতে এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিনই বিকল
হচ্ছে যানবাহন।
জানা গেছে, এলেঙ্গা-চরগাবসারা ভায়া ভ‚ঞাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাবল
বিটুমিনাস সারভেস ট্রিটমেন্ট পদ্ধতিতে সংস্কার কাজের প্রকল্প গ্রহণ করে
সড়ক ও জনপদ বিভাগ। প্রায় ১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার এই সংস্কার কাজ চলতি
বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে পাথর, বিটুমিন ও কেরোসিনের
সংমিশ্রণে সড়কে কার্পেটিং করার অভিযোগ উঠেছে। ২২ কিলোমিটার
সড়কের মধ্যে প্রায় ইতোমধ্যে ৯ কিলোমিটারের কাজ শেষ করা হয়েছে। তবে
সড়কে খানাখন্দ ও ফাটল সংস্কার না করেই নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করে
এভাবেই কার্পেটিং করায় বেশিদিন সুফল না পাওয়ার আশঙ্কা সড়ক ব্যবহারকারীদের।
এরআগেও গত বছর দুই বার এই সড়কের সংষ্কার করেছে সওজ কর্তৃপক্ষ।
সিএনজি চালক জাহিদ। অন্য চালকরা যখন যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালিয়ে উপার্জন
করছেন সেখানে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ি মেরামত কাজে ব্যস্ত। সড়ক সংষ্কার
কাজের কারণে তার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে ভ‚ঞাপুর থেকে এলেঙ্গা যাওয়ার
পথে পালিমা ব্রিজ এলাকায় তার গাড়ির চাকা ফেঁটে যায়। পরে একটি নতুন
চাঁকা কিনে লাগানোর কাজ করছেন তিনি নিজেই। শুধু জাহিদই নয় তার মত
অনেক চালকই সড়কের সংস্কার কাজের কারণে পরিবহন বিকল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ
হয়েছেন। অনেক চালক সড়কের উপরই যাত্রী দাড় করিয়ে রেখে গাড়ি মেরামত করছেন।
এছাড়া চলন্ত অবস্থায় সড়কের পাথর ছিটে গিয়ে যাত্রীদের শরীরে লাগছে। এছাড়া
পাথরের কারণে গাড়ির কাজ ভেঙে যাচ্ছে।
জাহিদ জানায়, সপ্তাহে ৩বার চাঁকা পরিবর্তন করতে হয়েছে। যেভাবে সড়কের
কাজ করছে তাতে চালকদের গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। এতে সারাদিনে যে উপার্জন হয়
তাতে সংসার চলে। তীব্র রোদের মধ্যে সড়কে গাড়ি মেরামত করতে হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এলেঙ্গা-ভ‚ঞাপুর সড়কের কুচটি এলাকায় সংস্কার কাজ
করছে ঠিদাকারের লোকজন। পূর্বে কার্পেটিং করা পাথরের উপর ছোট পাথর দিয়ে
পুনরায় কার্পেটিং করা হচ্ছে। এতে সড়কে ফেলানো পাথরগুলো গাড়ির চাঁকায়
উঠে আসছে। ঠিকাদারের দাবি ৩৫ ভাগ পাথর উঠে পড়বে। তবে সেই পাথরগুলো
সড়কেই থাকবে। একসময় সে পাথরগুলো সড়কে লেগে যাবে।
পরিবহন চালকরা জানায়, আগের সড়কটিই ভাল ছিল। তবে যে অংশটুকুতে খানাখন্দ
বা ফাটল ধরেছিল সেটাই সংস্কার করা দরকার ছিল। এভাবে পুরো সড়ক এভাবে পাথর
ছিটিয়ে কাজ করা ঠিক হয়নি। স্থানীয়রা জানান, সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ সংস্কার
না করে এভাবে ভাল সড়ক সংস্কারের নামে নি¤œমানের কাজ করায় সরকারের কোটি
কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। এতে ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা লাভবান হচ্ছে।