ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইতিহাসের স্রোতধারাকে বাঁধাগ্রস্ত করা সঠিক নয় : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • প্রতিবেদক এর নাম
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

Christmas holiday smooth gradient blend background texture pattern design.

ইতিহাসের স্রোতধারাকে কখনোই বাঁধাগ্রস্থ করা সঠিক নয়। ইতিহাসকে আপন গতিতে চলতে দিতে হয়। রাজনৈতিক সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে এবং মোহমুক্ত হয়ে সঠিক ইতিহাস রচনা ও চর্চা করার কোন বিকল্প নাই’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে যার যতটুকু অবদান আছে তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়া উচিত। তাদের প্রতি জাতি হিসাবে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। মনে রাখতে হবে অকৃতজ্ঞ জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারেনা, তবে কৃতজ্ঞতাবোধ একটি জাতিকে বহুদূর নিয়ে যেতে পারে। ইতহাস থেকে জাতীয় বীরদের যারা মুছে ফেলতে চায় তাদেরকেই একদিন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাড়াতে হয়।’

রবিবার (২৩ মার্চ) ২৩ মার্চ মওলানা ভাসানীর ন্যাপ ঘোষিত “স্বাধীন পূর্ববঙ্গ দিবস” স্মরণে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধ হুট করে শুরু হয়নি। বাংলার জনগনকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের পর শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ডাক দেয়ার আহ্বান জানান মওলানা ভাসানী। সেই সময় ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে পল্টনে মওলানা ভাসানীর আহ্বানে ন্যাপ ‘স্বাধীন পূর্ব বাংলা দিবস’ পালন করে। সেখান থেকেই ন্যাপ’র তৎকালীন ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়া পল্টন ময়দানে দলের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার দাবী তুলে ধরেন এবং পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে ফেলেন। সে সমাবেশে যাদু মিয়া বলেন, ‘ন্যাপ স্বাধীনতার প্রশ্নে আপসনামা-সমঝোতায় বিশ্বাস করে না।’ পতিত ফ্যাসীবাদী সরকার ইতিহাস থেকে সেই ঘটনা সহ অনেক ঘটনাই মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। যা কখনোই শুভ লক্ষন নয়। ইতিহাসের কি নির্মম পরিনতি আজ তাদেরকেই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হয়েছে।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্টি বা দলের একক অবদান দাবী করে প্রকারান্তরে যারা ইতহাসকে বিকৃতি করছে তাদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না। জাতি হিসাবে আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আর শ্রেষ্ঠ অর্জনকে অর্জন যে মওলানা ভাসানীসহ যারাই জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তৈরী করেছেন তাদের সকলকে যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন জাতি হিসাবে আমাদের কর্তব্য। তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থতা জাতি হিসাবে লজ্জার। বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস নির্মান করতে হবে নির্মোহভাবে।’

তারা আরো বলেন, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, সশস্র মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, স্বাধীনতা প্রথম পতাকা উত্তোলক আ. স. ম রব, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজ, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানি-সহ নায়ক-মহানায়কদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার এখনই উচিত।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ প্রেসিডেন্ট ভবন ও সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও পাকিস্তানের পতাকা ওড়েনি। স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে সে দিন ‘প্রতিরোধ দিবস’ পালিত হয়। আর মওলানা ভাসানীর আহ্বানে ন্যাপ ‘পূর্ব বাংলা দিবস’ পালন করে।’

খবর টি শেয়ার করুন :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Munna Khan

সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তরে ছেংগারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: চার দোকান পুড়ে ছাই

ইতিহাসের স্রোতধারাকে বাঁধাগ্রস্ত করা সঠিক নয় : বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশের সময় : ১২:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

ইতিহাসের স্রোতধারাকে কখনোই বাঁধাগ্রস্থ করা সঠিক নয়। ইতিহাসকে আপন গতিতে চলতে দিতে হয়। রাজনৈতিক সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে এবং মোহমুক্ত হয়ে সঠিক ইতিহাস রচনা ও চর্চা করার কোন বিকল্প নাই’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে যার যতটুকু অবদান আছে তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়া উচিত। তাদের প্রতি জাতি হিসাবে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। মনে রাখতে হবে অকৃতজ্ঞ জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারেনা, তবে কৃতজ্ঞতাবোধ একটি জাতিকে বহুদূর নিয়ে যেতে পারে। ইতহাস থেকে জাতীয় বীরদের যারা মুছে ফেলতে চায় তাদেরকেই একদিন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাড়াতে হয়।’

রবিবার (২৩ মার্চ) ২৩ মার্চ মওলানা ভাসানীর ন্যাপ ঘোষিত “স্বাধীন পূর্ববঙ্গ দিবস” স্মরণে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধ হুট করে শুরু হয়নি। বাংলার জনগনকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের পর শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ডাক দেয়ার আহ্বান জানান মওলানা ভাসানী। সেই সময় ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে পল্টনে মওলানা ভাসানীর আহ্বানে ন্যাপ ‘স্বাধীন পূর্ব বাংলা দিবস’ পালন করে। সেখান থেকেই ন্যাপ’র তৎকালীন ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়া পল্টন ময়দানে দলের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার দাবী তুলে ধরেন এবং পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে ফেলেন। সে সমাবেশে যাদু মিয়া বলেন, ‘ন্যাপ স্বাধীনতার প্রশ্নে আপসনামা-সমঝোতায় বিশ্বাস করে না।’ পতিত ফ্যাসীবাদী সরকার ইতিহাস থেকে সেই ঘটনা সহ অনেক ঘটনাই মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। যা কখনোই শুভ লক্ষন নয়। ইতিহাসের কি নির্মম পরিনতি আজ তাদেরকেই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হয়েছে।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্টি বা দলের একক অবদান দাবী করে প্রকারান্তরে যারা ইতহাসকে বিকৃতি করছে তাদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না। জাতি হিসাবে আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আর শ্রেষ্ঠ অর্জনকে অর্জন যে মওলানা ভাসানীসহ যারাই জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তৈরী করেছেন তাদের সকলকে যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন জাতি হিসাবে আমাদের কর্তব্য। তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থতা জাতি হিসাবে লজ্জার। বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস নির্মান করতে হবে নির্মোহভাবে।’

তারা আরো বলেন, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, সশস্র মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, স্বাধীনতা প্রথম পতাকা উত্তোলক আ. স. ম রব, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজ, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানি-সহ নায়ক-মহানায়কদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার এখনই উচিত।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ প্রেসিডেন্ট ভবন ও সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও পাকিস্তানের পতাকা ওড়েনি। স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে সে দিন ‘প্রতিরোধ দিবস’ পালিত হয়। আর মওলানা ভাসানীর আহ্বানে ন্যাপ ‘পূর্ব বাংলা দিবস’ পালন করে।’