বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
জামালপুরের বকশীগঞ্জের বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক মাসুম পলাতক রয়েছেন। বকশীগঞ্জ উপজেলার আীরপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম দুলাল হত্যা মামলার আসামীর তালিকায় তার নাম থাকায় তিনি পলাতক আছেন। ওই হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক মাসুম ১৫ নম্বর আসামী। ২৭ এপ্রিল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাগল নিয়ে সংর্ঘষে ট্যাটাবিদ্ধ হয়ে আবুল হাসেম দুলাল খুন হয়। ২৮ এপ্রিল নিহত দুলালের ভাই রেজাউল করিম বাদী বকশীগঞ্জ থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। ঘটনা ঘটার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক মাসুম। এব্যাপারে মামলার বাদী রেজাউল করিম জানান, বগারচরের ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান মাসুমের নির্দেশেই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মামলার প্রধান আসামী বগারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু সরেজমিনে মাঠে থেকে হত্যা কান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে। মাসুম আড়ালে থেকে কৌশলে প্রতিপক্ষদের সমর্থন দিয়ে মিশন বাস্তবায়ন করেছে। হত্যা কান্ডের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবি রেখে আমি অন্যান্য আসামীদের শাস্তি দাবি করে মাসুম ও লিচুর ফাসিঁ দাবী করছি। এব্যাপারে মামলার ১৫ নম্বর আসামী বগারচর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক মাসুম জানান, আমি ওই হত্যা কান্ডের কোন ঘটনার সাথেই জড়িত না। ইউপি নির্বাচনে পরাজয় হয়ে আমাকে হয়রানি করার জন্য আসামী করা হয়েছে। আমি নিজেও আবুল কাশেম দুলাল হত্যা কান্ডের বিচার দাবি করছি। তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি আড়ালে অবস্থান করছি। আমার অবর্তমানে বগারচর ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নানা সেবামূলক কর্মকান্ডে হয়রনির শিকার হয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমি মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করছি। বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, মামলা হয়েছে। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা নিয়েছে। ঘটনাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে সিনিয়র অফিসারদের নির্দেশ মোতাবেক মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তদন্তে ঘটনার সাথে যাদের জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া যাবে তারা কোনভাবেই ছাড় পাবে না। কোন নির্দোষ ব্যাক্তি হয়রানির শিকার হবে না।