চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার রাজনীতিতে সাহস, নিষ্ঠা ও আদর্শের এক অনন্য নাম আব্দুল মান্নান লস্কর। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এই নেতার নাম এখন শুধু ছেংগারচর পৌর এলাকার গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং মতলব উত্তর উপজেলা পর্যায়েও তার গ্রহণযোগ্যতা ও প্রভাব চোখে পড়ার মতো।
তিনি একাধারে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সদস্য, ছেংগারচর পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ছেংগারচর পৌর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বহুদিন ধরে। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংগঠনের প্রতি তার নিরবচ্ছিন্ন শ্রম ও ত্যাগ বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে তাকে ভরসার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তবে সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল তার এই জনপ্রিয়তা ও আদর্শিক অবস্থানকে কলঙ্কিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। ফটোশপের মাধ্যমে তার ছবি বিকৃত করে আওয়ামী লীগের মিছিলে দেখিয়ে তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই ধরনের ঘৃণ্য প্রচারণা বিএনপির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের মাঝেও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
মতলব উত্তর বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মান্নান ভাই দলের সংকটের সময়ে যেভাবে রাজপথে থেকেছেন, হামলা-মামলা সহ্য করেছেন, তা অনেকেই পারেননি। তার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার শুধু ব্যক্তি নয়, দলের মনোবল দুর্বল করার প্রচেষ্টা।
মতলব উত্তর উপজেলার ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মানিক ফরাজি, জেলা যুবদলের সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের সুমন বলেন, আব্দুল মান্নান একজন ত্যাগী নেতা। তার সততা, দলের প্রতি নিষ্ঠা ও আন্তরিক । আমরা তার বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংগঠিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব, রাজপথে নেমে প্রতিবাদ জানাব।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজও মান্নান লস্করের পাশে একাট্টা। এক দোকানি বলেন, তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, বাজারের অভিভাবক। ব্যবসায়ী মহলের সব সমস্যা সমাধানে তিনি সবার আগে এগিয়ে আসেন। তার মতো মানুষকে অপমান করার চেষ্টা আসলে সমাজের সৎ নেতৃত্বকে দুর্বল করার একটি অপচেষ্টা।
এক তরুণ শিক্ষার্থী বলেন, মান্নান ভাইয়ের মতো নেতা যারা সত্য ও ন্যায়ের পথে অটল থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার কখনোই সফল হবে না। আমরা এসব ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ খুলে দেব।
নিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আব্দুল মান্নান লস্কর বলেন, আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে রাজনীতি করি। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক তথ্য ও সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী মরহুম নুরুল হুদা ছিলেন আমার রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই সুযোগ্য সন্তান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদার নেতৃত্বে আমি দীর্ঘদিন ধরে মতলব উত্তর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি রাজনীতি করি চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাইয়ের নিদর্শন মেনে, তার নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনায়। তিনি আমাদের অভিভাবকসুলভ নেতা, তার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের আস্থা অটুট। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আমার দূরতম সম্পর্কও কখনো ছিল না। আজ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল অপপ্রচারে নেমেছে। আমি এসব ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং জনগণকে অনুরোধ করি, এসব গুজবে কান না দিয়ে সত্য ও বাস্তবতাকে মূল্যায়ন করুন।
মান্নান লস্কর আরও বলেন, বিএনপির একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে বারবার হামলা-মামলার মুখোমুখি হয়েছি, জেলও খেটেছি, কিন্তু কখনও আদর্শচ্যুত হইনি। আমার রাজনীতি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য, কোনো ব্যক্তিস্বার্থে নয়। যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা আসলে মতলব উত্তরের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।
মতলব উত্তরের রাজনীতিতে আব্দুল মান্নান লস্কর শুধু একজন নেতা নন, বরং তিনি একজন আদর্শবান, সংগ্রামী ও জনবান্ধব ব্যক্তিত্ব। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার যতই ছড়ানো হোক না কেন, জনগণের ভালোবাসা ও নেতাকর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থন তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। মতলববাসীর ভাষায়, “অপপ্রচার একদিন থেমে যাবে, কিন্তু সত্য ও ন্যায়ের পথে যারা থাকেন, তারা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকেন।